Migrant Workers মুম্বই থেকে আটক করে পুশ ব্যাক করা হয়েছিল বাংলাদেশে। রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে পেরেছেন। রয়েছেন বর্ধমানের এক শ্রমিকও। ভগবানগোলার হোসেননগর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মেহেবুব শেখ, হরিহরপাড়ার নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, বেলডাঙ্গার মিনারুল শেখ এবং বর্ধমানের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল শেখ রাজ্যে ফিরেছেন। জানা গিয়েছে আরও একপরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Migrant Workers মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে সোমবারই বাড়ি ফিরবেন ৪ পরিযায়ী শ্রমিক।
Migrant Workers রাজ্য সভার সাংসদ, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের West Bengal Migrant Workers Welfare Board চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম প্রশ্ন তুলেছেন, বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কিভাবে মুম্বাই পুলিশ তাদের বিএসএফের হাতে তুলে দিল ? আর বিএসএফ ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও এদের বাধ্য করল সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে যেতে ?
অভিযোগ, মুম্বাইতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া কিছু জন শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর সেই শ্রমিকদের মধ্যে ৫ জনকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় । বিএসএফ BSF ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের মারধোর করে জোর করে পশ্চিমবাংলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠছে ।
Migrant Workers বেলডাঙ্গার পরিযায়ী শ্রমিক মিনারুল সেখের দাদা মিনাজুল সেখ জানিয়েছেন যে তাঁর ভাইকে মুম্বই থেকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে বাংলাদেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন, “ আমরা একটা ফোন পাই। ফোনে জানানো হয় যে মিনারুক বাংলাদেশে রয়েছে। আমরা বেলডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করি”।
জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এরপর রবিবার বিকেলে ৪ শ্রমিককে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ওই ৪ পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানো হয়। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়রম্যান সামিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, মুম্বই থেকে ওই শ্রমিকদের আটক করার পরই রাজ্য সরকার সমস্ত নথি পাঠায়। তারপরেও শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
Migrant Workers মেখলিগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুর্শিদাবাদ এবং বর্ধমানের থানা থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরে বিএসএফ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হয়। বিএসএফ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং-এর পর ৩ জনকে মেখলিগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের শুক্রবার রাতে উত্তরবঙ্গের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।