Migrant Workers কেই বা জানত এমন দিন দেখতে হবে! স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে এই পরিণতি হবে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের ! প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে এইভাবে একটা পরিবারকে তছনছ করে দেবে, স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পরিবার, পরিজনেরা। দিল্লিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের নওদার গঙ্গাধারী জোড়তলা গ্রামে ফিরল একই পরিবারের নিহত চার জনের কফিনবন্দি দেহ। গ্রাম জুড়ে শুধুই হাহাকার আর কান্নার আর্তনাদ। সোমবার সকালে গ্রামের বাড়িতে ফিরল দিল্লিতে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের চারজনের দেহ। প্রশাসনের সহযোগিতায় এদিন সকালে গ্রামে নিয়ে আসা হল চারজনের নিথর দেহ। উপচে পড়ল পাড়া প্রতিবেশীদের ভিড়। কান্নাভেজা চোখে শোকে পাথর হল গোটা গ্রাম।

Migrant Workers গত শনিবার অর্থাৎ ৯ ই আগস্ট, সকালে দিল্লির হরিনগরে দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাত জনের। তাদের মধ্যে নওদার গঙ্গাধারী জোড়তলা গ্রামেরই একই পরিবারের চারজনের করুন পরিণতি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নওদার গঙ্গাধারি জোরতলা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল মন্ডল, রুকসোনা খাতুন, রুবিনা বিবি , হাসিনা খাতুন। পরিযায়ী শ্রমিক দুই ভাই তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে হরিনগরে বাড়ি ভাড়া করে ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! সেখানেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঐ পরিবারেরই হাসিবুল মন্ডল। দুঃসংবাদ পাওয়ার পর থেকেই মৃতদেহ বাড়ি ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছিল নওদার পরিবার। রবিবার নিহত চারজনের দেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। নিথর দেহ নিয়ে ফিরে আসেন মৃত শ্রমিক রবউল মণ্ডলের স্ত্রী পারভিনা বিবি। স্বামী, সন্তানকে হারিয়ে করুন পরিণতি তাঁরও। আগলে রাখছেন পরিবারের আর পাঁচজন।

Migrant Workers নওদার বিডিও দেবাশিস সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে গ্রামে ফেরে দেহ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিডিও। ব্লক পুলিশ কর্তা জানান, সরকারি সহায়তায় গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয় দেহ। অসহায় পরিবারের প্রতি সমবেদনা আছে। আগামী দিনেও প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনমতো সবরকম সুবিধা করা হবে।