Migrant Worker বাংলাদেশি সন্দেহে কেরালার (Kerala) জেলে তিন মাস আটকে রাখা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গি থানার ফরাজীপাড়া বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক মিঠুন মণ্ডলকে। (প্রায় ছ’মাস আগে রাজমিস্ত্রির কাজে কেরালায় গিয়েছিলেন বছর ২৫ এর মিঠুন। কেরালার ভাজাক্কড় থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে দাবি করে যে তিনি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার কান্তিপারসা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মল্লাপুরম আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারাধীন অবস্থায় গত তিন মাস ধরে তাঁকে জেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুনঃ Migrant Workers ফের ‘বাংলাদেশি’ বলে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের হেনস্তা ওড়িশায়
Migrant Worker ঘটনার খবর পেয়ে মিঠুনের বৃদ্ধা মা স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিযায়ী_শ্রমিক_ঐক্য_মঞ্চের ডোমকল ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে মিঠুনের হয়ে কেরালায় আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মিঠুনের মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি জলঙ্গির বাসিন্দা এই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে নাজেহাল হতে হয়। মায়ের অভিযোগ জলঙ্গি বিডিও অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও সময়মতো সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের ডোমকলের ইউনিট ব্লক প্রশাসন ও ডোমকল এসডিপিও-র যোগাযোগ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ ডোমকল কোর্টের এফিডেভিট জোগাড় করে কেরালা পাঠায়। মিঠুন ভারতীয় ও জলঙ্গির বাসিন্দা এটা প্রমাণ করতে দেরি হওয়ায় মামলাটি বারবার আদালতে পিছিয়ে যাচ্ছিল। ২৮ নভেম্বর মামলাটি উঠলেও নথির কারণে জামিন হয়নি। ৪ ডিসেম্বর সমস্ত নথি কোর্টে পেশ করা হলে মিঠুনের জামিন হয়।
Migrant Worker পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক আসিফ ফারুক শুক্রবার জানিয়েছেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পর থেকেই মিঠুন ও পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। কেরালার পুলিশের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে আইনজীবীর সঙ্গে সমন্বয় সব কিছুই করা হয়েছে। জলঙ্গি ব্লক প্রশাসন আগে সক্রিয় হলে এত দেরি হতো না। তবে ডোমকল এসডিপিও দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে মিঠুন মন্ডলের জেল মুক্তি ঘটে।
Migrant Worker কী বলছেন ওই শ্রমিকের মা?
Migrant Worker এই বিষয়ে মিঠুনের মা সখিনা বিবি বলেন, আমার স্বামী ১০ বছর ধরে জেলে রয়েছেন। আমার ছেলে কেরালায় কাজে যায়। আমার ভালো ছেলেকে বাংলাদেশি বলে নিয়ে যায়। ছেলের কোনও দোষ নেই। মহকুমা শাসকের দফতর থেকে জলঙ্গী থানায় বলে দেওয়া হলে পুলিস ব্যবস্থা নেয়।















