Messi Yuba Bharati আন্তর্জাতিক বদনাম, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা অধীরের
Messi Yuba Bharati টাটা কারখানা নিয়ে সিঙ্গুর আন্দোলনের পরে কলকাতায় মেসি (Lionel Messi) বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বাংলা। বাংলার বদনাম হওয়ায় আয়োজক ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দায়ী করেছেন বিরোধীরা।
Messi Yuba Bharati যুবভারতীতে ক্রীড়াঙ্গনে পা রাখার ২০ মিনিটের মধ্যে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিশ্বজয়ী লিওনেল মেসিকে। এরপরই শুরু তান্ডব। মাঠজুড়ে বিশৃঙ্খলা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসেও কেন দেখা গেল না মেসিকে? প্রশ্ন তুললেন ফুটবলপ্রেমীরা। শনিবার যুবভারতী কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর। লিয়োনেল মেসির সফরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় সরাসরি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি তোপ দেগেছেন তৃণমূলকে।
আরও পড়ুনঃ Migrant Worker দেখা হল না সন্তানের মুখ, বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ীর জীবন শেষ
Messi Yuba Bharati বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কলকাতার সুনাম ছিল ফুটবলের রাজধানী হিসেবে। আজকে যুবভারতীতে যা হল তাতে সেই সুনাম ভেঙে চুরমার। পিসির দেশে মেসি এলেন, আমরা দেখলাম তাঁর পলায়ন, প্রোগ্রাম ছোট করে তাঁকে চলে যেতে হল। মানুষ মেসিকে সামনা সামনি দেখতে এসেছিলেন, মেসিকে দেখা মানে একটা ফুটবলের দেবদূতকে দেখা। মেসি ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দেবতার দূত। অধীর আরও বলেন, তৃণমূলের চোরেরা সব ঘিরে রেখেছে। ভূত, প্রেতরা মেসিকে ঘিরে রেখেছে। তৃণমূলের নেতারা যেভাবে আজকে এই বিশৃঙ্খলার জন্ম দিল মাঠে তাঁদেরকে বেঁধে রাখা হলে খুশি হতাম আমি। মেসিকে তৃণমূলী তৈরি করতে চাওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের সুনাম যে আজকে শেষ হয়ে যেতে দেখলাম তার জন্যে নিজেকে লজ্জিত বোধ করছি। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তার এতে বিবেকের কোনও দংশন নেই। এর আগেও তিনি অনেকবার ক্ষমা চেয়েছেন। বাংলার ফুটবলের যে সুনাম ছিল। তৃণমূলের আমলে তা ধ্বংস হতে দেখলাম।
Messi Yuba Bharati বিজেপিও এই ঘটনায় নিশানা করেছে তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনকে। কী দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির ?

Messi Yuba Bharati শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এর সঙ্গে কোনও জায়গায় দূর পর্যন্ত এআইএফএফ এর যোগাযোগ নেই। এআইএফএফ এর কেও আমন্ত্রিত ছিলেন না। কোনও প্রতিনিধি ছিল না। আজ যা হয়েছে সম্পূর্ণ তৃণমূলের কারণে। এর জন্যে মুখ্যমন্ত্রী শুধু ক্ষমা চাইলে হবে না। মেসি কাকে দেখতে এসেছিলেন? মেসিকে কারা দেখতে চেয়েছিল? আপনারা প্রথমে বললেন ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব ও মোহনবাগানের সঙ্গে খেলা হবে। খেলা তো হলই না। মেসির পায়ের কাছে ফুটবল দেখতে পাওয়া গিয়েছে কি না জানি না। দর্শক তো দেখতে পেলেন না। তৃণমূলের নেতারা ঘিরে ধরেছে। ক্রীড়ামন্ত্রী সেখানে থাকবেন প্রত্যাশিত। কিন্তু ঘনিষ্ঠরাও সেখানে। সবাই তো তৃণমূল। তাঁদের মাঠের মধ্যে কী কাজ ছিল? তাঁরা জীবনে ক’টা ফুটবলে পা লাগিয়েছেন? যাঁদের থেকে এতোভাবে টাকা তুললেন? শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, লুঠ চলেছে? লুঠকে সরকার সহযোগিতা করেছে।
Messi Yuba Bharati যদিও এনিয়ে কী দাবি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের?

কুণাল ঘোষ বলেন, কিছু অতি হ্যাংলা লোক এমনভাবে সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরে রাখলেন, তাঁদের দাপটে গ্যালারিতে পকেটের পয়সা দিয়ে দামী টিকিট কেটে দূর থেকে আসা দর্শকরা মেসিকে দেখতে পেলেন না। সেই ক্ষোভ, জলের বোতল। মেসিকে চলে যেতে হল। আমরা এক বাক্যে নিন্দা করছি। এটা লজ্জাজনক ঘটনা। এই হ্যাংলাগুলো কলকাতাকে বদনাম করে ছাড়ল। যেখানে মেসি বসে খেলা দেখবেন, বা হয়তো পায়ে ফুটবল দিয়ে তাঁকে একটু স্কিল দেখাতে বলা হত। পায়ে ফুটবল ছোঁয়াতে পারলেন না।
আরও বলেন, আপনাদের আবেগকে সমর্থন করি। কিন্তু এই ভাঙচুর, এতে অন্য লোক সুযোগ নিয়ে নিচ্ছে। আপনাদের ক্রীড়াপ্রেম ছোট হয়ে গিয়ে, লঘু হয়ে গিয়ে বিষয়টা আইন শৃঙ্খলায় চলে যাচ্ছে। কুণাল ঘোষ আরও বলেন, দুঃখ, আয়জকের ব্যর্থতাটা, কেন এখন গুন্ডামি রুখতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেনি বা আরও কিছু করেনি, ব্যাপারটা সেদিকে ঘোরাবার চেষ্টা করছেন অনেকে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন আমাদের প্রিয়, ভারতের সেরা, এশিয়ার সেরা। তার বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিও তো আমরা চাই না। ফলে অন্যদের আবেগের সুযোগ নিয়ে ইস্যুটাকে অন্য দিকে ঘোরানো। দয়া করে নজর রাখুন। আবেগকে সংযত করুন।















