মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ গতকালই ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিককে নিগ্রহের ঘটনা। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাসের এর সামনেই মারধর করা হয় সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে । য় ১৫০ জন দুষ্কৃতী জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ঢুকে খোদ তাকেই শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।
কালকের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছেন জেলা প্রশাসন। এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালেও । সেখানে আজ কড়াকড়ি হয়েছে প্রশাসন ব্যবস্থা । মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে এদিক ওদিকে ছড়িয়ে থাকে রোগীর পরিবার পরিজনেরা । তাদেরকে একজায়গায় করছেন সিভিক পুলিশরা। ৫ – ৬ জনের বেশি লোকের বেশি জমায়েত দেখলেই তাদের ছত্রভঙ্গ করছে পুলিশ।

লালগোলা থেকে এসেছেন বিশ্বজিৎ রায়। এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্ত্তি আছেন তাঁর দাদা সুকান্ত রায়। গতকালকের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ এই ঘটনা খুবই লজ্জার। সব রোগীর পরিবারই চান রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু ডাক্তাররা তো আর ভগবান নন। তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তারপর সবই উপরওয়ালার হতে । যাই হোক, ডাক্তারকে মারধর করার ঘটনা খুবই লজ্জার। এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাই চাইব। ”
চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্ত্তি আছেন ১৮ বছরের রোগী আজিমুল সেখ। গলব্লাডারে অপারেশন হয়েছে তার। বাইরে রয়েছেন তাঁর মা রাবি বিবি। ফারাক্কার ইমামনগর থেকে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, “ কাল যখন ঘটনা ঘটেছে আমরা খেতে গিয়েছিলাম। পরে ফিরে এসে শুনেছি। এরকম করা ওদের একদমই ঠিক হয়নি। ডাক্তাররা তো আমাদের জান বাঁচানোর জন্যই আছেন। তাদেরকে মেরে কি হবে! তাদেরকে মারা মানে বোকামি। আমি চাই পুলিশ সব দোষীদের শাস্তি দিক।”
মেডিক্যাল হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী সুমিতা সিনহা বলেছেন, এই ঘটনা মোটেও আশানুরূপ নয়। CMOH স্যারের ওপর যদি এরম হামলা হয় তাহলে এই জেলায় যা খুশি তাই হতে পারে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব এই জেলায় অনেকদিনের সমস্যা।