MD Salim লোকসভা ভোটে হারের কারণ খুঁজতে বহরমপুরে সিপিএমের বৈঠকে মহম্মদ সেলিম। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী বৈঠকে খোঁজা হল হারের কারণ । এবার লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে ভোটে লড়েছেন দলের দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্বয়ং। তবে তৃণমূলের আবু তাহের খানের কাছে ১৬৪২১৫ ভোটে হেরেছেন মহম্মদ সেলিম । এরপরই হারের কারণে খুঁজতে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে জেলা সিপিএম কার্যালয়ে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্যের নিয়ে চলল বৈঠকে। এই বৈঠকে কোথায় পিছিয়ে পড়ল দল তার কারণ খোঁজা ও পর্যালোচনা করা হয়।
মহম্মদ সেলিম এই বিষয়ে বলেন, “নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যালোচনা। হিসেব নিকেশ ঠিক করা। এবং আগামী দিনে দাড়িয়ে আমাদের কনভেনশনের সম্পর্কে আলোচনা করা। ইতিমধ্যে আমাদের পলিটব্যুরোর মিটিং হয়েছে দিল্লিতে। প্রথমত আমরা ঠিক করেছি। সমস্ত নির্বাচন প্রক্রিয়াই আমাদের ভূমিকা আমাদের যে কাজকর্ম সেটা আমরা পর্যালোচনা করব। ফলাফল সেটাও পর্যালোচনা করব। এটা তিনভাবে হবে। এই তিনভাবে আসা তথ্যের ওপর নির্ভর করে আমরা ঠিক করব আমাদের পরবর্তী সংগ্রাম”।
এবার লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুধু মাত্র রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে সামান্য ভোটে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। বাকি ৬ বিধানসভার মধ্যে মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় বিজেপি লিড পায় এবং তৃণমূল প্রার্থী লিড পায় ৫টি বিধানসভা এলাকায়। এবার ভোটে সেমন ফলাফল আসা করেছিল সিপিএম নেতৃত্ব তেমন টা হয়নি। কেন এমন হল, এদিন হারের কারণ নিয়ে বৈঠকে হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। যদিও সেলিমের দাবি, হারের কারণ খুঁজতে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবে দল। ভোটের ফলাফল নিয়ে এইদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, “আমি মুর্শিদাবাদ থেকে লড়াই করেছি। এখানকার বিশালাংশের মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন। জয়ী না হলেও মনপ্রাণ দিয়ে মানুষ কাজ করেছেন। তার মধ্যে আমাদের কর্মীরা, আমাদের দলের বাইরে কংগ্রেসের কর্মীরা এছাড়াও বামফ্রন্টের কর্মীরা অংশ। এছাড়াও রাজনীতি করেনা তরুণ প্রজন্মের অংশ। এমন কি প্রবীণ মানুষদের সাহায্য আমরা পেয়েছি”।