Mamata Berhampore নাম করলেন না কংগ্রেস, সিপিএমের
Mamata Berhampore সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) দাঁড়িয়ে বিজেপিকে টার্গেট করে ভোটের সুর বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার নবান্নে সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বহরমপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে বলে থাকেন তৃণমূলের অন্যতম মূল ভোট ব্যাঙ্ক সংখ্যালঘু। পরপর মালদা ও মুর্শিদাবাদ সফর করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সরকারি সভা থেকে আগাগোড়া বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা হোক, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না বলা, এনআরসি ইস্যু থেকে ওয়াকফ, পরিযায়ীদের সমস্যার বিষয় তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই সাসপেন্ড হওয়া হুমায়ুন কবীরের নাম না করে নির্দলকে ভোট দেবেন না বলেও জানান তিনি। বিহারে ভোটের জয়ে মহিলা ভোটারদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া গুরুত্ব পেয়েছিল বলা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির ‘ভোটের আগে ১০ হাজার’ কথা তুলে ধুরে আজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার কথা জানালেন। ভোটের আর ছয় মাস বাকি রয়েছে বলেও এদিন তাঁর কথায় উঠে আসে।

আরও পড়ুনঃ CM Berhampore ভাঙন রোধের পরিকল্পনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছেঃ মমতা
Mamata Berhampore কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত এই জেলায় গত বিধানসভা ভোটে ২২ টি আসনেই জয় পায় তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে এখানে তিনটি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অথচ বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে ৭ টি আসনে পিছিয়ে ছিল শাসকদল। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তার আগে এদিন কার্যত ভোটের মেজাজ ঠিক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এসাইআর থেকে বাংলার বাসিন্দাদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া, এমনকী ভাঙ্গন ইস্যু, ওয়াকফ ইস্যু, হুমায়ুন কবির নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন তাঁর বক্তব্যে সিপিএম বা কংগ্রেসের নাম শোনা যায়নি। এমনকী খোদ অধীর চৌধুরীর গড় বহরমপুরে দাঁড়িয়েও তাঁর মুখে একবারও কংগ্রেসের নাম শোনা যায়নি। শোনা যায়নি বামেদের নামও।
এসআইআর না করতে দিলে ওঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন করতো
Mamata Berhampore এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিহারে গদি সরকার কী করল? ভোটের আগে যার বাইক আছে সে পায়নি, যার টিভি আছে সে পাবে না। ভোটের আগে ১০ হাজার, সারা বছর নয়। ভোট কেনার জন্যে। আর ভোট চলে গেলে এল বুলডোজার। হাজার হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করল। উৎখাত করল। আমরা ২০২১ সালে বলেছিলাম লক্ষ্মীর ভান্ডার করব। আর যদি ২১ থেকে ২৬ সাল পাঁচ বছর আপনারা যুক্ত করেন, তাহলে মা বোনেরা মাসে এক হাজার মানে কত হল? ১২ মাসে ১২ হাজার। আর পাঁচ বছরে ৬০ হাজার। গদিবাবুদের বলুন, আগে ওই টাকাটা দিতে। আরও বলেন, বার্ধক্য ভাতার দরকার নেই। জীবনে যতদিন বাঁচবেন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। কারও কটু কথায় বিশ্বাস করবেন না। এরা কাওকে ক্ষুধা মেটাতে টাকা দেয় না। সরকার যাতে কাজ না করতে পারে সেজন্যে নির্বাচনের তিন মাস আগে এসআইআর ঘোষণা করেছে। এও বলেন, এসআইআর না করতে দিলে ওঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন করতো। এটা মতুয়া ভাইয়ের চালাকি।
Mamata Berhampore তৃণমূলের অন্যতম মূল ভোট ব্যাঙ্ক হল সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক। তা অক্ষুণ্ণ রাখতে এদিন বিজেপিকে নিশানা করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কখনও ওড়িশায় অত্যাচার করা হচ্ছে। আর মুর্শিদাবাদ, মালদা দেখলে তো কথায় নেই। সব বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। এনারসি বাংলায় হবে না। এসআইআর চক্রান্তের পিছনে রয়েছে এনআরসি। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বিজেপিকে নিশানা করে তিনি মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডের কথা তুলে ধরেন।
নাম না করে হুমায়ুন ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখবে আমাদের কারও কারও সঙ্গে। সাম্প্রদায়িকতা করবার জন্যে টাকা দিয়ে ফান্ডিং করবে। উল্লেখ্য, এদিনই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। হুমায়ুন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে নতুন দল গড়ার ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয় ১৩৫ আসনে প্রার্থী দেবেন সেকথাও জানিয়েছেন। এটাও বলেছেন যে লড়াই হবে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। নাম না করে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, নির্দলকে ভোট দেবেন না। তা বিজেপির পাল্লায় পড়বে। ফলে হুমায়ুনকে ‘গুরুত্ব’ দেওয়া হচ্ছে, এটা স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Mamata Berhampore এর আগে সমীর পূততুন্ড সিপিএম থেকে বেরিয়ে গিয়ে পিডিএস দল করে প্রার্থী দিয়ে সেভাবে সফল হননি। তবে অধীর চৌধুরী (কংগ্রেসে থেকে) কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপূর্ব সরকার, মনোজ চক্রবর্তীদের দাঁড় করিয়ে সফল হয়েছিলেন। হুমায়ুনের রাজনৈতিক ইতিহাস রঙিন। একদা অধীরের শাগরেদ থেকে রাজ্যের এই সরকারের আমলেই তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি সব দল ঘুরে এবার নতুন দলের ঘোষণা করেছেন। তার আগে শনিবার বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ধাঁচে মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে ধামাকা ফেলে দিয়েছেন।













