এখন খবরমধ্যবঙ্গ নিউজপরিবেশবিনোদনহেলথ ওয়াচখেলাঘরে বাইরেলাইফস্টাইলঅন্যান্য

Mamata Banerjee ‘শিক্ষকরা জাস্টিস পেয়েছে, আমি খুব খুশি’ – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: December 3, 2025
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee  প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহালের নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার এই রায় নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা জনসভা থেকে বহরমপুরে ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন এই রায় নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া।

Mamata Banerjee  ‘আমি খুব খুশি, শিক্ষকরা জাস্টিস পেয়েছে’ – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee ‘রাজ্যে ২ কোটির উপরে কর্মসংস্থান হয়েছে’, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর

Mamata Banerjee  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” আমাদের টিচাররা, মানবিক দিক থেকে ব্যাপারটা দেখা হয়েছে এবং টিচারদের পরিবারগুলো সেফ হয়েছে এতে আমি খুব খুশি।” এদিন দুপুরে মালদা জনসভা সেরে আকাশ পথে বহরমপুরে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যারাক স্কয়ারে হেলিকপ্টার থেকে নেমেই দলীয় নেতৃত্বদের সাথে কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান তাঁর প্রতিক্রিয়া।

Mamata Banerjee  ‘চাকরি দেওয়া দরকার, খেয়ে নেওয়া দরকার নয়’ মুখ্যমন্ত্রী 

Mamata Banerjee   মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ” চিচাররা জাস্টিস পেয়েছে, তাদের পরিবাররা সেফ হয়েছে তাতেই খুশি। কথায় কথায় কোর্টে গিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়া সেটা তো ঠিক নয়। চাকরি দেওয়া দরকার, খেয়ে নেওয়া দরকার নয়।” ডিভিশন বেঞ্চের রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ বিচার বিচারের মতো বলবে। বিচারকে আমরা শ্রদ্ধা করি। সুতরাং আমি সবচেয়ে খুশি যে আমার চাকরিরত ভাই বোনেরা তাদের চাকরিটাকে সুরক্ষিত করতে পেরেছে।

আরও পড়ুনMamata Banerjee in Berhampore   বহরমপুরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী , ব্যারাক স্কোয়ারে অনুগামীদের ভিড়

Mamata Banerjee ২০১৪ সালের ‘TET’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল।

Mamata Banerjee কিন্তু ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালের ‘টেট‘-এ উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। ইন্টারভিউয়ে ডাক পর্যন্ত পান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি হয়নি। ২০১৬ সালের প্যানেলে একাধিক অনিয়ম ছিল বলে জানান ‘বঞ্চিত’রা। নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও, প্যানেলের বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীই ছিলেন প্রশিক্ষণহীন। অর্থাৎ যোগ্যদের বঞ্চিত হতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

সেই মামলায় ২০২৩ সালের ১২ মে রায় ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্টের তদানীন্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারারা। রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে রায়ে বিচারপতিরা জানান, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে। নিয়োগের সময়সীমা ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করে ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ের ওই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে আবার সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নতুন করে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলা ঘুরে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, শুনানির আগে সরে দাঁড়ান বিচারপতি। এরপর মামলা যায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে। ১২ নভেম্বর শেষ হয় মামলার শুনানি। ৩ ডিসেম্বর হল রায় ঘোষণা

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now