বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ ভালোয় ভালোয় মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। ভিড়ের চাপে তার ছিঁড়ে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়ে স্বয়ংক্রিয় মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা।
তখন সবে মালদহের সভা শেষ করে মুর্শিদাবাদের উড়ান ধরতে এগিয়েছেন হেলিপ্যাডের দিকে। হাতে মেরেকেটে তিরিশ মিনিট। অথচ সভাস্থলের ব্লক ফাঁকা। স্টেডিয়ামের মূল মাঠের বাইরে লোকে লোকারণ্য। হাতে মাইক্রোফোনে একবার জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্র একবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রকাশ যাদব মাঠে থাকা পুলিশ আধিকারিক কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন মানুষজনকে তাড়াতাড়ি মাঠে ঢোকানোর জন্য। আর তখনই বিপত্তি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পেছনের দিকে অর্থাৎ নয়া শ্রমিক ভবনের দিকে সি২ ব্লকের গেট দিয়ে দলে দলে মানুষ ঢুকছিলেন। সেখানে তিনটি গেটেই বসানো হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম। ভিড়ের চাপে তার ছিঁড়ে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়ে তারমধ্যে একটি। পুলিশ তার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নিজেরাই মাঠে উপস্থিত হওয়া মানুষজনের জামা প্যান্টের পকেট তল্লাশী করতে শুরু করেন।
পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ না থাকায় বাধ্য হয়ে মহিলাদের তল্লাশী না করেই মাঠে প্রবেশের অনুমতি দিতে হয়। ভিড়ের চাপে বাকিগুলোকেও সরিয়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সিআইডি পুলিশ সুপার অনীশ সরকার। ছুটে ছুটে তদারকি করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থাকলেও একসময় বাধ্য হয়ে সকলকেই মাঠে প্রবেশ করার অনুমতি দেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা।
বড়জোড়া থেকে ঠিকাদার সংস্থার দায়িত্বে মাঠে বসানো হয়েছিল ক্যামেরা ও মেটাল ডিকেক্টর ডোর ফ্রেম। ভিড়কেই কার্যত কাঠগড়ায় তোলে পুলিশ। তবে সভা শেষে কোনও বড়সড় বিপর্যয় না থাকায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেন পুলিশের কর্তারা।