পবিত্র ত্রিবেদীঃ বেশ কয়েক বছর পর গোরুর চামড়ার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে কান্দি মহকুমার একাধিক ব্লকে। বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ভরতপুর এক নম্বর ব্লকে। আমলাই, গোপীনাথপুর, ভালুইপাড়া, মাসলাই, মদনপুরে এই রোগে গোরু আক্রান্ত। এছাড়াও জজান অঞ্চল, তালগ্রাম অঞ্চলের একাধিক গ্রামে ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সবাই যাতে সচেতন হয় সে জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণী চিকিৎসকরা। প্রাথমিক ধাপে চিকিৎসা করলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার সম্ভাবনা। না হলে বিপদ হতে পারে। গোরুকে ঘিরে বহু পরিবারের সংসার চলে । এখন সমবায় সমিতি গড়ে মহিলাদের একটা অংশ এখান থেকে রোজকার করছেন । স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এই রোগে? জানা গিয়েছে ,ওই রোগে গোরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। গুটিবসন্ত হচ্ছে। খিদে, দুধ কমে যাচ্ছে। ঘা হয়ে গরুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে এখন দুধের সমিতির সংখ্যা প্রচুর। এলএসডি নামে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট সবাই । অনেকদিন পর এই রোগ এই এলাকায় দেখা গেল বলে প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার ভরতপুর ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতপুর খাটান পাড়ার বাসিন্দা উজির শেখ এলএসডি রোগ আক্রান্ত একটি গরু নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, গরুর খিদে কমে যাচ্ছে। চিকিৎসক ও ভরতপুর ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এলডিএ অনিমেষ বিশ্বাস পরীক্ষা করে জানান, এলএসডি হয়েছে। একেবারে প্রাথমিক ভাবে রয়েছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে বলে আমরা রিপোর্ট পেয়েছি । এটা ভাইরাল রোগ । ফেলে না রেখে প্রানী চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ।