Loksabha election কেউ মজুরি প্রায় বাড়িয়েই দিয়েছেন। কেউ আবার দিচ্ছেন আশ্বাস। কেউ বলছেন, লড়াইয়ে তারাই। ময়দানে শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতারা । তবে আজও বঞ্চিত বিড়ি শ্রমিকরা । তবে বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী মিলবে কবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
এখন কতো মজুরি পান বিড়ি শ্রমিকরা ? সামসেরগঞ্জের ফুলতারা বিবি জানিয়েছেন, প্রায় দেড়দিন ধরে এক হাজার বিড়ি বাঁধেন তিনি। মজুরি মেলে দেড়শো থেকে একশো পঁচাত্তর টাকা।
যদিও ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলীর বাইরের জেলাগুলিতে বিড়ি শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হয়েছিল ২৬৭ টাকা ৪৪ পয়সা। কিন্তু সেই মজুরি কোন দিনই হাতে পান নি শ্রমিকরা।
কীভাবে ঠিক হয় বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি ? শ্রমিক পক্ষ ও মালিক পক্ষের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমেই ঠিক হয় বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি। ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ বারের মতো হয়েছে শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষের মধ্যে চুক্তি। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে সেই চুক্তি । এই চুক্তি অনুযায়ী হাজার বিড়ি বেঁধে ১৭৮ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা বিড়ি শ্রমিকদের । কিন্তু শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সেই মজুরিও ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না । সপ্তাহে সাত দিন কাজও আর নেই। কাজ মিলছে চার থেকে পাঁচ দিন।
তবে জঙ্গিপুর মহকুমায় প্রায় ৯ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকের ভোট সব দলের কাছেই চিন্তার বিষয়। এনিয়ে লোকসভা ভোটের আগে আসরে নেমেছে রাজনোতিক দলগুলিও । বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে সিপিএম।সিপিএম নেতা জুলফিকার আলীর দাবি, বিড়ি মালিকরা সবাই তৃণমূলের নেতা। তাই বাড়ছে না মজুরি।মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার সামসেরগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও ।
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে তেমন ভাবে কোন আন্দোলনে দেখা না গেলেও ভোট ময়দানে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি নিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন বিজেপি নেতা কৌশিক দাস। কংগ্রেসের নেতা আলফাজুদ্দিন বিশ্বাসের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিড়ি শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে আসছেন । মানুষ এবার বুঝতে পারছে কারা তাঁদের পাশে আছে।বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীরা শাসক দলের দিকেই অভিযোগ তুলছে। যদিও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি, সাংসদ খলিলুর রহমানের দাবি, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে খুন শীঘ্রই বৈঠকে বসবে বিড়ি মালিক সংগঠন। বিড়ি মালিক সাংসদের আরও দাবি, বিড়ি শ্রমিকদের কথা ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই। খলিলুর রহমানের আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস আসার পরেই বেড়েছে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি।
তবে বিড়ি শ্রমিকদের হাঁড়ির খবর কী ? উত্তর নেই কোন পক্ষের কাছেই। প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক দড়িটানাটানিতে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে না তো বিড়ি শ্রমিকদের আসল দাবি ?