প্রশান্ত শর্মাঃ শনিবার ভোকাল টনিক দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim) । রবিবার সেই মতোই প্রচারে নামলেন তৃণমূল নেতারা। এদিন বহরমপুর শিল্পতালুকে একটি হোটেলে দলের ব্লক সভাপতি , বিধায়ক, নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সভায় ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষরা। দলের বৈঠকে নেতাদের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন আবু তাহের খান (Abu Taher khan) ।
শনিবারও মঞ্চ থেকে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা বলেছেন আবু তাহের খান। তাহের বলেছিলেন, “ গোষ্ঠী আমাদের আছে। আমাদের নিশ্চিয় বিভাজন আছে অনেক যায়গায়। সব বিভাজন ভুলে গিয়ে আমাদের মূল প্রতিপক্ষ ভারত বর্ষের বিজেপি দল। সেই বিজেপি পার্টির মুখপাত্র আরেকজন আছে, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী”।
আরও পড়ুনঃ FIRHAD HAKIM: আজ বহরমপুরে ফিরহাদ, রুদ্ধদ্বার বৈঠকও
রবিবারও তাহের একই সুরে কথা বলেছেন দলের নেতা কর্মীদের সাথে। দলের মিটিং শেষে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন আবু তাহের খান। তাহেরের পাশেই ছিলেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়। এই শাওনি রায়ের সাথেই এক সময় দলের জেলা কমিটি নিয়ে বচসায় জড়িয়েছিলেন আবু তাহের খান। সভা শেষে আবু তাহের খান জানান, দুই লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের নিয়ে সভা ছিল। বাংলার মানুষের উপর কেন্দ্রের অত্যাচার , বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজ্যে অধিকার যাত্রা করবে তৃণমূল। তাহের জানিয়েছেন, ২১ মার্চ থেকে ৭ দিন ৭ টি বিধানসভা এলাকায় প্রচারে যাবেন তিনি। এক এক দিন এক একটি বিধানসভায় ঘুরবেন সব নেতা। এদিন আবু তাহের খান দাবি করেছেন, বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কথা বলছেন না বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যের বঞ্চনায় নাকি হাততালি দিচ্ছেন অধীর । এর পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসে মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেছেন, “আবু তাহের খান কতোবার মানুষের জন্য সংসদে সরব হয়েছেন আর অধীর চৌধুরী কতোবার সরব হয়েছেন, সেটা সংসদের নথি দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে”।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad Election: মুর্শিদাবাদে ২ দফায় ভোট, কবে কোন কেন্দ্রে ?
তবে আবু তাহের খান মুখে গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর কথা বললেও এদিন অনেক ব্লক সভাপতিই বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। সভায় আসেন নি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। শনিবার বহরমপুরে দলের বৈঠকে যোগ দেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim) । সেই বৈঠকে গহাজির ছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির । বৈঠকের পর সন্ধ্যায় বেসরকারী হোটেলে হুমায়ুন কবিরের সাথে আলোচনা করেন ফিরহাদ । তবে বিদ্রোহে ইতি দেবেন না বলেই জানান হুমায়ুন। ফিরহাদ হাকিমের সাথে বৈঠকের পর হুমায়ুন বলেন, “ আমি কী বলতে চাইছে নেতৃত্ব জানেন। আমি কী করবো আমিও জানি”। এদিন যদিও আবু তাহের খান দাবি করেছেন, হুমায়ুনের সাথে বিরোধ মিটে গিয়েছে।