Lok Sabha Election:  লোকসভায় মুর্শিদাবাদে কোন আসনে লড়বে কে ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

তৃণমূল নয়। বামেদের সাথে লোকসভা  ভোটে (Lok Sabha Election)  জোট রাজ্যে। শনিবার স্পষ্ট করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ( Adhir Chowdhury) । অধীরের জোট বার্তাতে জোর চর্চা শুরু আসন নিয়েও। চড়ছে রাজনৈতিক পারদও । ২০১৯ সালে বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে দাঁড়ানো অপূর্ব সরকারকে (Apurba Sarkar)  হারিয়েছিলেন অধীর। এবারের লোকসভায় বাম কংগ্রেসে জোট প্রসঙ্গে, অধীর চৌধুরী আর মহম্মদ সেলিমকে (Md Selim)  এক বাণে  বিঁধেছেন  তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি  অপূর্ব সরকার । অপূর্বর দাবি, ক্ষমতা হারিয়ে সিপিএমকে ধরে বাঁচতে চাইছে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ Lok Sabha Election’এ জোট নিয়ে অবস্থান খোলসা করলেন Adhir

তবে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিশ্চিত। তবে  মুর্শিদাবাদ জেলার তিন আসনের মধ্যে কোন আসনে লড়বে কারা ?  উত্তরের খোঁজে সিপিআই(এম) থেকে কংগ্রেসের কর্মীরা।  কোন সমীকরণে আসন সমঝোতা হবে  সেদিকেও  নজর রয়েছে সব পক্ষের। বহরমপুর আসনে লড়বে কংগ্রেস। আগেও এই আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে সিপিআই(এম) । তবে মুর্শিদাবাদ আর জঙ্গিপুর, জেলার এই দুই আসনের দাবিদার দুই পক্ষই।

২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ আসনে ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জিয়েছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। সেবার কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল আবু হেনা’কে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯২৯। আর সিপিআই(এম)’এর  বদরুদ্দোজা খান পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৯৩ ভোট । সেই ভোটে বিজেপি’র হাত ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ূন কবির। পেয়েছিলেন  ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৯ টি ভোট। তবে লোকসভার পর বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস। চব্বিশের লোকসভায় এই আসনের দাবিবার সিপিআই(এম)। কংগ্রেসও এই আসন দাবি করছে সিপিআই(এম)’এর কাছে। যদিও বহরমপুরে সমর্থনের  বিনিময়ে এই আসন সিপিআই(এম)’কে ছাড়তে রাজি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুনঃ মহম্মদ সেলিমকে পাল্টা! একলা লড়াইয়ের হুঁশিয়ার অধীরের

একই ছবি জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রেরও। এই আসন নিয়েও চলছে দর কষাকষি। এই কেন্দ্রেও  লড়তে চাইছে সিপিআই(এম) । ২০১৯ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে  ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়ে  জিতেছিলেন তৃণমূলের খলিলুর রহমান। দ্বিতীয় স্থানে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৬ টি ভোট পেয়েছিলেন  বিজেপি’র মাফুজা খাতুন। কংগ্রেস এই আসনে প্রার্থী করেছিল অভিজিৎ মুখার্জীকে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৩৬ টি। এই আসনে সিপিআইএমের জুলফিকার আলি পেয়েছিলেন ৯৫ হাজার ৫০১ ভোট। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই আসনে সিপিআই(এম) লড়তে চাইলে সেটা মেনে নিতে আপত্তি আছে কংগ্রেস নেতাদের। তবে কোন আসনে কোন দল লড়বে তা অবশ্য স্পষ্ট নয় জেলা স্তরের সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস নেতাদের কাছে।জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস, মুর্শিদাবাদ জেলায় কে কোথায় প্রার্থী হবে সেটা উচ্চনেতৃত্বের উপরই নির্ভর করছে। কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। কংগ্রেসের নিয়ম মেনেই দল সিদ্ধান্ত জানাবে।

বামেদের সাথে কংগ্রেসের নির্বাচনী আঁতাত নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা। জামির মোল্লা বলেছেন  , “ আগেও কংগ্রেসের সাথে আসন সমঝোতা করে লড়েছে সিপিআই(এম)। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা আমাদের ঘোষিত সিদ্ধান্ত। আসন নিয়ে বোঝাপড়া হবে রাজ্যস্তরে”।

জোটকে অবশ্য আলাদা করে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষের দাবি, “ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআইএম, তৃণমূল একই বৃন্তের তিনটি কুসুম। এদের প্রথম থেকেই লক্ষ বিজেপিকে হারানো”।দিনক্ষণ না ঘোষনা হলেও ভোটের হওয়া যে দিতে শুরু করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নেতাদের ব্যস্ততা, দলীয় কর্মসূচির তোড়জোড় সে কথা স্পষ্ট করছে। এই হাওয়ায় প্রার্থীদের নামও ভাসাচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়ার সমীকরণ কোন খাতে বইছে, সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।