“মিথ্যে প্রচার হচ্ছে” বললেন জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপার

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, জঙ্গিপুরঃ একদিনে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দশ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রোগী রেফারের অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। অভিযোগ ওঠে ওই হাসপাতালের এসএনসিইউয়ের সংস্কার হওয়ার কারণে সেখান থেকে মাত্রাতিরিক্ত রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসছেন রেফার হয়ে। ওই কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, “অতদূর থেকে রোগী আসার কারণে গোল্ডেন টাইম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।”  শুক্রবার এ বিষয়ে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার অবিনেশ কুমার অবশ্য বলেন, “আমরা গত ৪৮ ঘন্টায় কোনও বাচ্চাকে  রেফার করি নি। রোগীর তথ্য দেখলেই সত্য মিথ্যা বোঝা যাবে। আমি যাচাই করে দেখেছি শেষ পনের দিনে মোট তিনটি ইন বর্ন ও পাঁচটি আউট বর্ন রেফার করা হয়েছে। এটা তদন্ত করলেই দেখা যাবে। তাহলে এত বাচ্চা জঙ্গিপুর হাসপাতালের এল কোথা থেকে?”   জঙ্গিপুর হাসপাতালে একদিনের জন্যও এসএনসিইউ বন্ধ ছিল না জানিয়ে সুপার বলেন, “এসএনসিইউয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করেই পুরনো এসএনসিইউ সংস্কার করা হচ্ছে।” এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ পাল্টা বলেন, “ গত মাসে জঙ্গিপুর শমসেরগঞ্জ এলাকা থেকে ৫০ জন রেফার হয়ে এসেছে। জঙ্গিপুর এলাকা থেকে দুজন মনে হয় এসেছে। তবে আমরা স্ক্রটিনি করে দেখব।  আমি কাউকে দোষারপ করছি  না। আমরা বলেছি জঙ্গিপুর এলাকা থেকে রোগী এসেছে।”

আগামী বুধবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তথা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান শিশু মৃত্যুর কান্ডে একটি বৈঠক ডেকেছেন। হাসপাতাল সূত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের একজন শিশুর মৃত্যু হল শুক্রবার সকালে। মৃত শিশুর বাবা সাকিল মুস্তাকিন শেখ বলেন, “চিকিৎসকরা বলছেন সংক্রমণের কারণে আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।” চলতি মাসের পাঁচ তারিখ ডোমকলের বাসিন্দা সাকিল তাঁর শিশু সন্তানকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। সেখানেই শুক্রবার সকালে তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়।