মুর্শিদাবাদে হাতছাড়া বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত

Published By: Madhyabanga News | Published On:

বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ ইনসাফ যাত্রার পর সোমবার লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষে বহরমপুর সত্যচন্দ্র ভবনে যখন দিনভর জেলা নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম,পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম সহ অনান্য নেতৃত্বরা, ঠিক সেই সময়েই ১৫ কিলোমিটার দূরে লালবাগ শহরে সদ্য পঞ্চায়ত নির্বাচনে সিপিএমের প্রতীকে জেতা প্রধান মীরা রায় সহ কয়েকজন সদস্য হাতে তুলেছেন তৃণমূলের পতাকা। যখন দিন শেষে আগামী কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই সত্য চন্দ্র ভবন থেকে দুশো মিটার দূরে তৃণমূলের  পতাকা তুলে নিলেন কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী উপপ্রধান বেদার হোসেন। সেই সময় তিরঙ্গা আলোর ঝলমলে বাহার থাকলেও খাঁ খা করছে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়।  ওইদিন ডাহাপাড়া পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল।

শাওনি সিংহরায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিলেন সিপিএমের প্রধান

চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে কংগ্রেস সিপিএম যৌথভাবে বোর্ড গঠন করে ডাহাপাড়ায়। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের এই অঞ্চলে পঞ্চায়েতে ১৭টি আসন। তারমধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৬টি, সিপিএম পেয়েছিল ৪টি, বিজেপি পেয়েছিল ২টি, আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৫টি। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও বাম কংগ্রেস জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করেছে জুলাইতে। চারমাসও গেল না, নির্বাচনে জয়ী সদস্যরা নাম লেখালেন তৃণমূলে। পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের মীরা রায়, এক সঞ্চালক সিপিএমের গৌতম চৌধুরী তৃণমূলের লালবাগ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে শাওনি সিংহরায়ের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাদের সঙ্গে অবশ্য বিজেপি’র জয়ী প্রার্থী সন্ধ্যারানী মন্ডলও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন। শুধু তাই নয় ওইদিন বিকেলে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের হাত থেকে ওই পঞ্চায়েতেরই কংগ্রেসের উপপ্রধান বেদার  হোসেন আরও তিন কংগ্রেস সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে পতাকা তুলে নেন। এভাগেও ওই পঞ্চায়েতের ১ বিজেপি সদস্য আছেন।  প্রসঙ্গত, বেদার তৃণমূল ছেড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন শাওনী বলেন, “ওই ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটি আমরা পেয়েছিলাম। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও একটি পঞ্চায়েত আমাদের দখলে আসায় আমাদের শক্তি বাড়বে।”

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “যারা যোগ দিলেন আর আর যারা যোগ করালেন দুপক্ষই অর্বাচীন। এরা যত তাড়াতাড়ি রাজনীতি  থেকে সরে যায় ততই মঙ্গল।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা অবশ্য বলেন, “মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রধানকে দলে টেনেছে তৃণমূল। এই রাজনীতি আমদানি করে সমাজকে খারাপ করছে ওরা। এই নীতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।” আবু তাহের বলেন, “সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে পরাজিত করতে ওরা ভেবেছে তৃণমূলই পারবে, তাই অন্য দল ছেড়ে আমাদের দলে নাম লিখিয়েছেন।”