আগামী ভোটে মুর্শিদাবাদে প্রার্থী বাছাইয়ে দলীয় কোন্দলই দুশ্চিন্তা শাসক দলের
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম প্রকাশ্যেই কয়েক দিন আগে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ-জঙ্গীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান Khalilur Rahaman সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মন্ডলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে তিনি খলিলুর সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন। এবার তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব মানল না জঙ্গিপুরের তৃণমূল TMC সাংসদ খলিলুর রহমানের পরামর্শ। তৃণমূল সূত্রের খবর, ব্লক স্তরের কমিটি গঠনে নেতৃত্ব খলিলুরের পরামর্শ কার্যত কর্ণপাত করল না । শনিবার জঙ্গীপুরের ১২ টি সাংগঠনিক ব্লকের নেতার নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, অন্তত ৭টি ব্লকে খলিলুর যাঁদের নেতৃত্ব আনার চেষ্টা করেছিলেন, একটিতেও তা মানা হয়নি।
Murshidabad TMC Khalilur Rahaman বরং মনিরুলের পরামর্শে ফরাক্কায় সিপিএম থেকে আসা দুই নেতাকে ফেরানো হয়েছে। সাগরদিঘিতে খলিলুরের বদলে গুরুত্ব পেয়েছেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তাই বাইরনের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে গড়ে দেওয়া হয়েছে কোর কমিটি। সুতির দুই ব্লকেই স্থানীয় বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের বক্তব্য প্রাধান্য পেয়েছে। এমনকী খোদ খলিলুরের বাড়ির এলাকা শামসেরগঞ্জেও তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব পায়নি। সেখানে স্থানীয় বিধায়কের বক্তব্যই ব্লক কমিটি গঠনে গুরুত্ব পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আগামী বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে পুরনোরা ফের প্রাধান্য পাবেন তা অনেকটা স্পষ্ট এই ব্লক কমিটি গঠনে। মুর্শিদাবাদের রাজনীতির হাল হকিকতের যারা খবর রাখেন তাঁরা জানেন, দলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সঙ্গে খলিলুরের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। ফলে স্পষ্ট, ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন খলিলুর। বহরমপুর, সাগরদিঘি, লালগোলায় তৃণমূলের সংগঠনের জটিল পরিস্থিতি।
এগিয়ে আসছে বিধানসভা ভোট। প্রার্থী বাছাইয়ে দলীয় কোন্দল সামলানোই শাসক দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য বিধানসভা ভোট, তৃণমূলে বড় রদবদল মুর্শিদাবাদে, ঝড় শুরু রেজিনগরে