Lalgola Padma Erosion মুর্শিদাবাদের লালগোলার তারানগর, রাধাকৃষ্ণপুর। যেখানে পদ্মা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। যে ভাঙনের জেরে আবারও এক গভীর সংকটের মুখে বহু পরিবার। মঙ্গলবার রাতেই হঠাৎ নদীগর্ভে তলিয়ে যায় পরপর ১৩টি বাড়ি। মুহূর্তের মধ্যে ভিটে-মাটি, বহু বছরের সঞ্চয়, এমনকি বড় বড় পাকা বাড়িও নদী গর্ভে হারিয়ে ফেলেন পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা। আতঙ্কে রাতের অন্ধকারেই শেষ সম্বলটুকু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে যায় বহু পরিবার। পদ্মার ভাঙন যেন মানুষের জীবনে স্থায়ী অস্থিরতা ও দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে, তা বলাই বাহুল্য।
Lalgola Padma Erosio দুর্গতদের সাথে সাক্ষাৎ মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের
Lalgola Padma Erosion বৃহস্পতিবার ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি। তারা সরেজমিনে ভাঙনকবলিত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, শোনেন তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। অনেকে এ সময় নিজেদের অভাব-অভিযোগও তুলে ধরেন। তবে মন্ত্রী আখরুজ্জামান জনগণকে ইতিবাচক ভাবনায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, “জেলা শাসকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। নতুন করে যেসব ভাঙন দুর্গত পরিবার যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে বিধায়ক, ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিক, বিএলআরও ও এডিওরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কৃষকরা যাতে জমি হারানোর ক্ষতিপূরণ পান, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।” আখরুজ্জামান স্পষ্ট করে বলেন, ‘ সরকার মানবিক মুখ নিয়ে মানুষের পাশে রয়েছে’।
Lalgola Padma Erosion স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস
Lalgola Padma Erosion জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানও দুর্গতদের পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে স্থায়ী সমাধানের রাস্তাই খোঁজা হবে। বাসস্থানের সমস্যাও মেটাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সঙ্কটের সময় যাতে দুর্গতদের খাদ্য বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তায় সমস্যা না হয়, তা সরকার নিশ্চিত করছে।”
