Lalgola Case বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। সেই শিশুর উপরই নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। বুধবার সকালে সাগিয়া জগন্নাথপুর এলাকায় বাড়ির কাছের পুকুরের ধারে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ওই কিশোরের দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Lalgola Case পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র । মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফিরে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খেলা করতে বেরিয়েছিল সে। সন্ধ্যা হলে ছোট ভাই বাড়ি ফিরলেও সুরজিৎ বাড়ি ফিরে আসেনি। তার ছোট ভাই জানিয়েছিল, সে জঙ্গলের দিকে গিয়েছিল। অন্ধকার নেমে আসার পরও ওই কিশোর ফিরে না আসায় তার বাবা ও মা উদ্বিগ্ন হয়ে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয়দের কাছে ছেলে সম্পর্কে জানতে চাইলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। পরে, বাড়ির পাশের পুকুরেও খোঁজাখুঁজি করা হয়, কিন্তু কোনও হদিশ না পেয়ে পরিবার পুলিশে খবর দেয়।
Lalgola Case বুধবার সকালে, বাড়ির অদূরে পুকুরের ধারে ঝোপ থেকে শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, তার দেহে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং গালের উপর বিড়ির ছ্যাঁকার দাগও রয়েছে। শিশুর বাবা বলেন, “আমার ছেলেকে বিকেলের পরে কেউ ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করেছে।” দেহ উদ্ধারের পর থেকে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তার মা । তিনি বলেন, “আমার বড় ছেলে একটু চঞ্চল প্রকৃতির ছিল, তাই ছোট ছেলে সবসময় তার সঙ্গে থাকত। মঙ্গলবার সে বলেছিল, দাদা জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু এরপর যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা আমরা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। আমাদের ধারণা, তাকে আশেপাশের কেউ খুন করে দেহ ফেলে দিয়েছে।” এ বিষয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।