মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শুক্রবার সকালে কবর থেকে তোলা হল লালগোলার আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী আব্দুর রহমানের মরদেহ । এদিন সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয় । ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার। দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় লালগোলা থানার পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার আব্দুর রহমানের বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত রেহেসান সেখকে লালবাগ আদালতে তোলা হয়। দেহের যেতেহু কোন ময়নাতদন্ত হয় নি। তাই, মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ।
মঙ্গলবার নিজের গ্রামেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন আব্দুর রহমান। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর বাড়ির লোকজন কবর দিয়ে দেন। শুক্রবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা লালগোলার বিডিও সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে মৃতদেহ তোলা হয়। গোটা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয় । ভিডিওগ্রাফি করা রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার মৃতের বাবা মফিজুদ্দিন সেখের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছে লালগোলা থানার পুলিশ । ধৃত রেহেসান সেখকে বৃহস্পতিবারই লালবাগ আদালতে পেশ করা হয় । আদালত ধৃতের দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে । মৃতের বাবার অভিযোগ, একটি নোটে ছেলে জানিয়েছে প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ দিয়ে প্রাতারিত হয়েছিল ছেলে। বারবার টাকা ফেরত চাইলেও টাকা দেয় নি প্রতারকরা।