নিজস্ব সংবাদদাতা, নবগ্রামঃ দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল মুর্শিদাবাদের এক রাজমিস্ত্রীরির। ঘটনাটি ঘটেছে নবগ্রাম থানার অন্তর্গত গোপগ্রামে। শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতন রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে বেড়িয়েছিলেন বছর ৪২-এর সামসুল সেখ। সামসুল ডোমকলের শাবাজপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রাজমিস্ত্রীর। সেই কাজের সূত্রেই, নবগ্রাম থানা অন্তর্গত জীবন্তি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি রিসোর্ট হোটেল কাজ করছিলেন তিনি।
শনিবার সকালে দেওয়াল ভাঙার কাজ করছিলেন সামসুল সহ আরও কয়েকজন শ্রমিকেরা। সেই সময় অসাবধানতাবশত দেওয়াল ভাঙা চাঁইয়ে চাপা পড়েন কর্মরত তিন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সহকর্মী জাহাঙ্গীর মণ্ডল জানান, “প্রথমে আমরা চারজন কাজে উঠেছিলাম। দু’জন ওপর থেকে ভাঙছে এবং দু’জন নীচে। এবং ওঁরা যখন ওপরে কাজ করছিল আমরা একটু পাশেই ছিলাম। তখন হঠাৎই দেওয়াল ভেঙে পড়ে যায়। এবং সেখানেই তিনজন চাপা পড়ে যায়। আমি দুজনকে বার করেছি। কিন্তু একজনকে খুঁজে পায়নি। পরে দেখলাম একদম তলানিতে চাপা পড়ে রয়েছে।” আহত শ্রমিকদের দাবি গোপগ্রামে মাস চারেক ধরে একটি রিসোর্টে কাজ চলছে সেখানেই দেওয়াল ভাঙার কাজ করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি।
জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিক বিতান দে জানান, “যদি এই শ্রমিক কর্মসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত থাকেন তাহলে সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তা পাবেন”। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়েও। সেই ক্ষেত্রে তিনি জানান, “যেকোনো কোম্পানির রাজমিস্ত্রী বা শ্রমিক হলে তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেই ক্ষেত্রে সেফটি হার্নেস পড়তে হয়। এবং আরও অন্যান্য নিয়ম রয়েছে।” কিন্তু এখানে আদৌ এই শ্রমিকগুলি কোনরকমের কোম্পানির হয়ে কাজ করছিলেন, তাঁদের কাছে আদৌ কোনও সুরক্ষা সামগ্রী ছিল কি না সেটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।