Khetmojur Metting Khargram মুর্শিদাবাদে জমি ফেরাতে মরিয়া সিপিএম
Khetmojur Metting Khargram গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের শিক্ষার জন্যে খড়্গ্রামের (Khargram) নগর কলেজ গড়তে জমি দিয়েছিলেন। বলছিলেন বামপন্থীদের রক্ত দিয়ে ওই কলেজ তৈরি। সেই কলেজে খেত মজুরদের (Khetmojur Union CPM) সম্মেলন করতে দেওয়া হল না। মৌখিক অনুমতি দিয়েও চাপের জেরে সম্মেলন করতে দেওয়া হল না। দুঃখ করছিলেন সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজু মিয়া। শনিবার খড়্গ্রামে কোরানিয়া হাই মাদ্রাসা চত্বরে তাঁর অডিও বার্তা শুনলেন শয়ে শয়ে শ্রমিক। সেখানে দাবি উঠল সরকারি চাকরি করলে ৬০ বছর বয়সের পরে পেনশন দেওয়া হয়। তাহলে যারা রোদে পুড়ে মাঠে কাজ করলেন তাঁরা ৬০ বছর পরে পেনশন পাবেন না কেন? টোটো চালকরা পাবেন না কেন? ইটভাটার শ্রমিকরা, ভ্যান চালকরা পাবেন না কেন?
আরও পড়ুনঃ Ongikar Jatra: ‘নারী আগুন জ্বালো’, গানে, কবিতায় মুখরিত বহরমপুর
Khetmojur Metting Khargram এদিন খড়্গ্রামে খেত মজুরদের ইউনিয়ন জেলা সম্মেলন থেকে নিশানা করা হল তৃণমূলকে। শনিবার সংগঠনের জেলা সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, আমরা গ্রামীণ ও অর্থনৈতিকভাবে সর্বহারা মানুষদের কথা বলছি। শ্রমিকদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। খেত মজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের তৃতীয় জেলা সম্মেলন এটি। নগর কলেজে অনুমতি না পেয়ে কোরানিয়া হাই মাদ্রাসায় এই সম্মেলন হচ্ছে।

Khetmojur Metting Khargram মুর্শিদাবাদে জমি ফেরাতে মরিয়া সিপিএম। এবার খড়গ্রামে খেতমজুর সংগঠনের সম্মেলনে বড় মিছিল হল সিপিএমের। মিছিলে কৃষক, শ্রমিকদের সঙ্গে হাঁটলেন মহিলারা। মিছিল থেকে উঠে এল খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি, গ্রামে কাজের মতো একাধিক ইস্যু। খড়গ্রামের নগরে মিছিল শেষে হয় সভা। তৃণমূলকে নিশানা করেছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা। তিনি বলেন, দিদিমণির আমলে একটি নতুন ইট গাঁথা হল না। নতুন স্কুল, কলেজ হল না। বরং ৮৩২৬ টি স্কুলে তালা বন্ধের নোটিস দেওয়া হল। রবিবার অবধি খড়গ্রামে চলবে খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন।

Khetmojur Metting Khargram বাম্ফ্রন্ট সরকার এসে গ্রামের কৃষকদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন। ভূমি সংস্কার করেছিলেন। এখন সেই শ্রেণী অবহেলিত। ক্যানেলে জল নেই। দখল হয়ে যাচ্ছে। বামপন্থার বিকল্প নেই। সম্মেলনে বলছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে যোগ দেন কৃষক, মেহনতী মানুষ। গ্রাম জয় দিয়েই মুর্শিদাবাদে জমি ফেরাতে মরিয়া সিপিএম। এদিন মিছিলে ‘আমাদের খড়্গ্রাম, আমাদের বাংলা, ভালোবাসার বাংলা’ লেখা ব্যানারও দেখা যায় ওই মিছিলে।















