Khargram News নদী বাঁধ উপচে ফের বন্যা পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে। ব্রাহ্মণীর বাঁধ উপচে রাতে অন্ধকারে জল ঢুকল খড়গ্রামে। বন্যার জলে প্লাবিত খড়গ্রামের ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতের অন্ধকারে জল ঢোকার আতঙ্কে কার্যত ঘরবন্দি গ্রামের মানুষ। যদিও বুধবার সকাল থেকে নামতে শুরু করেছে জল। জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ডের দুমকা জেলায় ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার দেউচা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২২ হাজার ৩৮৭ কিউসেক জল ছাড়া হয়। সেই জলে প্লাবিত হয় খড়গ্রামের ঝিল্লী পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।
Khargram News মঙ্গলবার বিকেল থেকেই জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। সন্ধ্যা থেকে গ্রামে ঢুকতে থাকে বন্যার জল। খড়গ্রামের টিটাডাঙা এলাকায় নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। সেখান দিয়ে ঢুকতে থাকে জল। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বালির বস্তা ফেলে বাঁধ মেরামত করা হয়। সেচ দপ্তরের বহরমপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্যারিস নন্দী জানান, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অভিযান চলেছে। সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। জনপ্রতিনিধিরাও আছেন। মানুষের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি দেখা হয়।
Khargram News এলাকা প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরে যান। রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় যান সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বুধবার সকালে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন খড়গ্রামের বিডিও মিলনি দাস। তিনি জানান, সকাল থেকে নতুন করে গ্রামে জল ঢোকেনি। জল নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যেই আছে, চাষের জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিল্লির বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা হয়, কিছু যায়গা জলমগ্ন আছে, ভয়ের কোন কারণ নেই।
Khargram News এদিন দুপুরে প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শনে যান খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। বিডিও র উপস্থিতিতে ঘুরে দেখেন বিভিন্ন এলাকা। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সাথে। পুলিশ সুপার জানান, বীরভূমের দিক থেকে জলের প্রবাহ বেশী আছে। খড়গ্রাম থানার মধ্যেই ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েত পরে। পরিস্থিতি এখন ঠিক আছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথেও কথা হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল হলেও প্রশাসন তৈরি আছে। জলস্তর কমছে বলেই খবর আছে। এই এলাকা ডিসট্রিক্ট হেড কোয়ার্টার থেকে অনেক দূর। থানাকে ব্রিফ করা হয়েছে, এলাকায় ক্যাম্পও আছে। সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।