katum Kutum Handcraft বহরমপুরে ‘ কাটুম- কুটুম’ ! উত্তরের এই শিল্প নজর কাড়ছে খাদি মেলায়

Published By: Imagine Desk | Published On:

katum Kutum Handcraft   ‘ কাটুম- কুটুম’ বাংলার এক বৈচিত্রপূর্ণ শিল্প । এই শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে অবননীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। পাশ্চাত্যের শিল্প ধারায় যাকে বলা হয় কোলাজ। সেই কোলাজের প্রদর্শনীতেই সেজেছে মেলার মাঠ। অবননীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ কাটুম- কুটুম’ যেন প্রাণ পাচ্ছে মুর্শিদাবাদ খাদি মেলায় Murshidabad Khadi Mela 2024 । সুদূর জলপাইগুড়ি থেকে শিল্পী জ্যোতি সরকার এসেছেন নবাবি শহরে। সঙ্গে এনেছেন ‘কাটুম- কুটুম’। ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে খাদি মেলার অন্যতম আকর্ষণ এই ‘কাটুম কুটুম’। বিগত তিন বছর ধরে এই শিল্প নজর কেড়েছে জেলাবাসীর। আশ্চর্য এই ভাস্কর্য শিল্প দেখে চোখ ফেরান না অনেকেই। শখ করে নিয়ে যান বাড়ি। কী নেই তালিকায়! টেবিল ল্যাম্প থেকে, ডাইনিং টেবিল। চেয়ার, টেবিল থেকে ঘরের সাজসোজ্জার হাজারো সামগ্রী। কিন্তু সাধারণ আসবাব পত্র, ঘর সাজানোর সামগ্রীর থেকে একটু আলাদা এই কাটুম কুটুম?

মেলা প্রাঙ্গণে কাটুম- কুটুম প্রদর্শনী

katum Kutum Handcraft   কী এর বিশেষত্ব?

katum Kutum Handcraft  কাটুম কুটুম- এই পদ্ধতি অনেকটা কোলাজ পদ্ধতির মতোই। বাতিল ও ফেলা দেওয়া জিনিসপত্রের টুকরো , ভাঙা কাঠের টুকরো, গাছের ডাল, শুকনো ডাল, শিকড় দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ঘষে- মেজে, জোড়া লাগিয়ে তৈরি হয় নানান ঘর সাজানোর জিনিস। এই শিল্পকে কেন্দ্র করেই স্বনির্ভর হয়েছেন উত্তরবঙ্গের বহু শিল্পী। যেমন জ্যোতি সরকার। এই শিল্পই তাঁর নেশা এবং পেশা। খাদি মেলায় এসে শিল্পী জানান, ” বহরমপুরে ‘কাটুম কুটুম’ নিয়ে এসেছেন। তিস্তা নদীর Teesta River জল শুকিয়ে গেলে কাঠ, শিকড় কুড়ন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের থেকেই শিল্পীরা কিনে আনেন সরঞ্জাম। কাটিং করে ঘষে মেজে শুরু করেন কাজ। এই কাজে নিযুক্ত থাকেন বহু কর্মী। শুকনো কাঠ ঘরে আনা থেকে মেলায় আসা- এই যাত্রাপথ দীর্ঘ। নানান সামগ্রী তৈরি থেকে ফিনিশিং দিতেই লেগে যায় মাসের পর মাস। মেলায় এসেও থেমে থাকে না কাজকর্ম।

katum Kutum Handcraft  ‘ কাটুম- কুটুম’ শিল্পকে আঁকড়ে জীবনধারন করেন শিল্পীরা। হাতের কাজ, পরিশ্রম -জনসমক্ষে তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম এই মেলা। সে বহরমপুর হোক বা রাজ্যের অন্যান্য জেলা। উপার্জনের ক্ষেত্রে শীতের মরশুমে মেলার অপেক্ষায় থাকেন জ্যোতি সরকারের মতো উত্তরবঙ্গের বহু শিল্পী।

katum Kutum Handcraft  বাবা, দাদাদের থেকেই এই কাজ শিখেছেন জ্যোতি সরকার। বহরমপুরে আসছেন গত তিন বছর ধরে। আগামী দিনেও এই শিল্পের সঙ্গেই জুড়ে থাকতে চান। চান শিল্পের প্রসার হোক, চাহিদা বাড়ুক। জগৎ জোড়া খ্যাতি পাক ‘কাটুম- কুটুম’।