Kartik Maharaj: রাজ্যের বর্তমান অবস্থা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কার্যত রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ বেলডাঙায় ভারত সেবাশ্রমের নিরপত্তাও চেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কার্তিক মহারাজ বলেছেন, জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে যা হয়েছে। তারপর আশ্রমের বাসিন্দার চিন্তিত। আশ্রমের নিরাপত্তা চেয়েছি। এসপি’কে ফোন করেছিলাম। জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ।
মঙ্গলবার দুর্নীতি ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেছেন, আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দেখে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে মাথা নত হয়ে যাচ্ছে। লজ্জাবোধ হচ্ছে। আজ শিক্ষা দপ্তরের কী অবস্থা ? এতো যুবক এতোদিন ধরে ধর্ণায়। এতোজনের চাকরি চলে গেল। কার্তিক মহারাজের প্রশ্ন, খাদ্য দপ্তর কোন জায়গায় ? এটা বলবো না ? সন্ন্যাসী হলেও আমার দায়িত্ব রয়েছে এই কথাগুলো বলার।
এবার দুর্নীতি ইস্যুতেও কার্তিক মহারাজের নিশানায় সরকার। হুগলির নির্বাচনী জনসভায় কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “সব সাধু সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের এক জন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায় তারা দীর্ঘ দিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছে”। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের জন্য তাঁকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কার্তিক মহারাজের দাবি, বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এবার সরব হলেন রাজ্যের অবস্থা নিয়েও।