Kartik Maharaj: ভোট মরশুমে সাধু তরজা থামছেই না

Published By: Madhyabanga News | Published On:

Kartik Maharaj  এখনও বাকি শেষ দুই দফার লোকসভা ভোট। পঞ্চম দফা থেকেই সাধুদের নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের পাল্টা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সাধুসন্তরাও। ভোটের মরশুমে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে সাধু সন্ন্যাসীরা।

১৮ই মে নির্বাচনী প্রচার থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  নিশানা করেন বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রমে সঙ্ঘের  স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে  কার্তিক মহারাজকে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, বুথে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেন নি ভারত সেবাশ্রম সংঘের ওই সন্ন্যাসী।  শনিবার হুগলির গোঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন  , “সব সাধু সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবা‌ই সমান? এই যে বহরমপুরের এক জন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায় তারা দীর্ঘ দিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে”।

এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। ১৯ তারিখ আরামবাগের সভা থেকে এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।কার্তিক মহারাজকে বিঁধতে ছাড়েন নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। ২০ মে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেছেন, “ যাঁর কথা বলেছেন, তাঁর পরিচিতি নিয়ে এখানে বহু মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। সাধু-সন্তের যে রকম চরিত্র হওয়া প্রয়োজন, সেই চরিত্র তাঁর নেই। উনি সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবেই এখানকার মানুষের কাছে পরিচিত। উনি কখনও তৃণমূলের, কখনও বিজেপির! উনি কখন কোন দলের সমর্থক, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে” ।

এসবের মাঝে সোমবার বহরমপুরে  পথে নেমে প্রতিবাদ মুখর হয়েছেন। সাধু, সন্ন্যাসীরাও। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রমাণ চেয়েছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে  কার্তিক মহারাজ। সোমবার বাঁকুড়ার সভা থেকে ফের এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।  বহরমপুরে সভা থেকে  পাল্টা সুর চড়িয়েছেন  কার্তিক মহারাজও। কেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর প্রসংশা করবেন সেই যুক্তিও দিয়েছেন তিনি।

লোকসভা ভোটের মরশুমে সাধুদের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অধীর দাবি করেছেন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করতেই সাধুদের নিয়ে সরব হচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে নরেন্দ্র মোদী।

এত বিতর্ক যাকে ঘিরে কী বলছেন সেই কার্তিক মহারাজ ? মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ২৪ তারিখ প্রতিবাদ মিছিল হবে কলকাতায়। তিনি বলেছেন, “আমার কথায়  বুথে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয় নি এটা সর্বৈব  মিথ্যা। আমি কোন ডন না, আমি কোন মস্তান নয়, আমার কোন বাহিনী নেই যে আমার  ঘুরে ঘুরে টিএমসি এজেন্টদের বের করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। তৃণমূলের হাতে প্রশাসন রয়েছে তিনি ব্যবস্থা নিয়েই পারে। আমি কোন জায়গায় কাকে বলেছি তা আমাকে দেখাতে হবে” ।