Karmashree মুর্শিদাবাদ জেলা রিভিউ মিটিং এ অংশ নিয়ে ‘কর্মশ্রী‘ প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের কথা উঠে এল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদারের মুখে। বৃহস্পতিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনের সভায় মন্ত্রী জানান, পরিযায়ী শ্রমিক জবকার্ড হোল্ডারদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে, বাংলা বাড়ি সহ সরকারি বিভিন্ন স্কিমে মিলবে কাজ। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের অগ্রাধিকার পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
karmashree রাজ্যে বিভিন্ন জেলার বহু শ্রমিক পেটের টানে ভিন রাজ্যে পারি দেন। কেউ কোলের সন্তান রেখে, কেউ আবার বৃদ্ধ বাবা মাকে রেখেই মাসের পর মাস বছরের পর বছর ভিড় রাজ্যে পরে থাকেন। মুর্শিদাবাদেও যে সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য। অনেক সময় ঘটে দুর্ঘটনাও। প্বে্রাণ যায়! বিপদের ঝুঁকিও থাকে। নিজের জেলায়, নিজের এলাকায় কাজ পেলে উপকৃত হবেন শ্রমিকরা। রাজ্যের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প নিয়ে আশার বানী শোনালেন মন্ত্রী। কিন্তু আশ্বাসই কী সার! কাজ কি পাবেন পরিযায়ীরা? পাবেন ন্যায্য পারিশ্রমিক? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
karmashree কেন্দ্রের একশো দিনের কাজ এই রাজ্যে বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তার বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করে। প্রধানত যাদের একশো দিনের কাজের জব কার্ড রয়েছে, তারাই কাজ পাচ্ছেন।
karmashree কর্মশ্রী প্রকল্প কী?
karmashree কর্মশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ, যা মূলত সেই ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয়েছে, যারা ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA) আওতায় থাকলেও নির্দিষ্ট কারণে কাজ পাননি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে, যাতে তারা স্বনির্ভর হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
karmashree গত বছরের শেষ দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মশ্রী প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশী বেশী করে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন । সেই মতো জেলায় জেলায় কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে পরিযায়ীদের। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে জেলা পরিষদের রিভিউ মিটিং এ এসে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, ” কর্মশ্রী প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা পরিযায়ীদের কাজ দিচ্ছি। বাংলা বাড়ি প্রকল্প ও সরকারি প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিযায়ীদের যুক্ত করা যায় তা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”
karmashree যদিও পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর দাবি মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কংগ্রেসের দলনেতা আব্দুল লাহিল কাফি। তার দাবি, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তেমন কোন আলোচনা করা হয়নি।