Kandi: কান্দির ইতিহাস নিয়ে বই, জেলা হলে কী হবে নানা জল্পনা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ওই বইটির ভুমিকায় কান্দি রাজ পরিবারের উত্তরসূরি বিজ্ঞানী বিকাশচন্দ্র সিনহা তাৎপর্যপুর্ণভাবে লিখেছেন, ‘আমি আমার সম্বন্ধে বেশ কিছু জানলাম’।নির্দিষট ৫ টি অধ্যায় পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সেকালের বঙ্গবাসীদের কর্মস্থান, সাধনার স্থান কিন্তু বাংলার গ্রামীন অঞ্চলে, কলিকাতা শহরে নয়।

নতুন জেলা হতে চলেছে ১৫ লক্ষ বাসিন্দার কান্দি। তার প্রস্তুতি জোর কদমে। জেলা হলে কী কী হবে তাই নিয়ে চুড়ান্ত জল্পনা চলছে পাড়ার ঠেক থেকে প্রশাসনের অন্দরমহল সর্বত্র। আগেই কান্দিতে গড়ে উঠেছে সরকারি সার্কিট হাউস। কান্দি মহকুমা জেলা হলে আলাদা জেলাশাসক কার্্যােলয়, পুলিস সুপার অফিস, জেলাপরিষদ অফিস, জেলা আদালত সহ বিভিন্ন সরকারি অফিস তৈরি করতে হবে। কান্দি রাজ স্কুলের ডানদিকে জায়গা পরিষ্কারের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।সুত্রের বক্তব্য, জেলা গঠনে পরিকাঠামো নির্মানের প্রক্রিয়া এটি। তবে এই বিষয়ে সরকারি কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারই মধ্যে কান্দির হাজার বছরের ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশিত হতে চলেছে এই খবরে খুশির হাওয়া কান্দির সংস্কৃতি মহলে। কান্দি আচার্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সংগ্রহশালার কিউরেটর প্রনব আচার্্যল ৮ বছর ধরে গবেষণা করে ওই বইয়ের তথ্য জোগাড় করেছেন। যে বই প্রকাশিত হচ্ছে তার নাম কান্দিনামা। জানা গিয়েছে, লাল মলাটের বইয়ের ভিতরে থাকছে কান্দির পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। অনেক দুষ্প্রাপ্য ছবি রয়েছে তাতে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে, যাঁরা মাতৃভূমির ইতিহাস, সংস্কৃতিকে নিবিড়ভাবে ভালবাসেন তাঁদের প্রতি। বাবর নামা, আকবর নামা, বাঙ্গাল নামার সুত্র ধরে তিনি বইয়ের নাম রেখেছেন কান্দিনামা। দশটি অধ্যায়ে বইটিতে সবিস্তার আলোচনা করা রয়েছে। কান্দির বাসিন্দাদের পারিবারিক ইতিহাসের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।জানা যাবে এই কান্দি অঞ্চলেই বিখ্যাত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আগমন, পাঁচথুপির বাণীমন্দির ও কাজীনজরুল ইসলামের আগমন। গুরুত্বপুর্ণ মন্দির এর তথ্য আছে। মহালন্দিতে অষ্টম-নবম শতকে শ্রী কাত্যায়নী, উদ্ধারণপুরে শ্রীকালাগ্নিরুদ্র, কান্দি রূপপুরে শ্রী রুদ্রদেবের মন্দিরের তথ্য রয়েছে। কান্দিতে যেসব বিশিষ্ট মানুষ জন্মেছিলেন তাঁদের ইতিহাসও ওই বইতে তুলে ধরা হয়েছে।অক্ষয় কুমার দত্ত, অতুলচন্দ্র সেন সহ বিখ্যাত মানুষদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে উত্তর রাঢ়ঃ প্রাচীন ভৌগলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট। এছাড়া আছে মহকুমার লোকায়ত শব্দ সম্ভার। চলমান, আরবি ফার্সি হিন্দি শব্দ এবং ব্যক্তি নাম। কান্দি মহকুমার কাব্যময় স্থান নাম। কান্দির মিষ্টি, একঝলকে কান্দি মহকুমা। মহকুমার মন্দির, মহকুমার মসজিদ, পদাবলি কীর্তন, গোকর্নের শ্রী নৃসিঙ্ঘ দেবের মন্দির, বিভিন্ন প্রত্নস্থল। কান্দি রাজবংশ, জজান রাজবংশ, অন্যান্য রাজবংশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। সমুদ্রের কয়েকটি ঢেউ এর কথা জানা গিয়েছে। ওই বইয়ে কান্দির ইতিহাসের সমুদ্র জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা । যেমন সোমবার কান্দি রামেন্দ্রসুন্দর মিউজিয়ামে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই ওই বইয়ের কপির জন্যে কিউরেটরের কাছে আবেদন করে রাখলেন সেখানকার অতিথি কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার।