কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর। এরই সাথে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করুন রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবিই তুললেন অধীর চৌধুরী। শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দু’জনের সাজার বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের মতো তার ঢেউ পৌঁছয় দেশের অন্যান্য প্রান্তেও।
কামদুনির ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুই ধর্ষকের ফাঁসির সাজা খারিজ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি আরও চার দোষী সাব্যস্তের সাজা মকুবও করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবারের এই রায়ের পর
কামদুনির ঘটনায় ধর্ষিতার দুই বন্ধু এবং পরিবার তাঁদের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি, এ-ও বলেছিলেন, এ রাজ্যে আর সুবিচারের আশা নেই।
নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অন্য দিকে, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটার কারণে খালাস পেয়েছেন হাই কোর্ট থেকে। ২০১৩ সালের ৭ জুন ঘটে কামদুনি ঘটনা। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় জন্য আবেদন করলেন অধীর চৌধুরী।