Jute cultivation MSD দেড় বিঘা জমিতে হয়েছে চার কুইন্টাল পাট। পাট চাষে খরচ ২২ হাজার টাকা , পাট বিক্রি করে হাতে পেয়েছেন ১৬ হাজার টাকা। নিজের পকেট থেকে দশ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করেছেন। পুকুর ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, লেবার খরচ তো আছেই। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার পাট চাষি বিধান মণ্ডলের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। চাষ করে লাভের লাভ তো নেই, বরং ক্ষতি- বিধান মণ্ডলের মতোই হতাশ পাট চাষি অমিত, সুধাম, সুকুমাররা।
অর্থকরী ফসল পাট। কিন্তু পাট চাষ করেও শান্তি নেই চাষিদের মনে। সামনেই উৎসবের মরশুম। তার আগে লাভের আশায় পাট চাষ করেছিলেন। আশায় ছিলেন পাট বিক্রি করে উৎসবে সামিল হবেন। তবে এবছরও পাট চাষ করে হতাশার শেষ নেই। শুখা মরশুমে এবছর পাট চাষে খরচ বেড়েছে অনেকটাই। সেই তুলনায় একদিকে কমেছে ফলন অন্যদিকে আশানুরুপ দাম না মেলায় মাথায় হাত পাট চাষিদের। এই মরশুমে শুরু থেকেই বৃষ্টির অভাবে বেড়েছে সেচের খবর। অন্যদিকে জলের অভাবে পাট জাঁক দিতেও লেগেছে বাড়তি খরচ। বর্তমান বাজারে কিছুটা বেড়েছে পাটের দাম। তবে সেই দামেও মন ভরছে না চাষিদের। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দাম হলে তবেই কিছুটা লাভ হতো মনে করছেন।
এবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় পাট চাষ হয়েছে ৯০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর। এই একবছরে কমেছে পাট চাষের পরিমাণ। গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষ করে ক্ষতিই দেখতে হয়েছে পাট চাষিদের।