মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ টেট পাশ না করেই জুটেছিল প্রাথমিক শিক্ষকের পদ। রাজ্যের ৯৪ জন এমন শিক্ষকের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার ৩০ জন রয়েছেন। ওই শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। ওই দিনই পর্ষদ বাতিল হওয়া ৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে । সেই তালিকায় রয়েছে নবগ্রামের চারজন। এর মধ্যে দুই শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকা। সেমিমা খাতুন চাকরি করতেন ৩২ নম্বর কুশমোড় নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে। গত শনিবারও স্কুলে এসেছিলেন ওই শিক্ষিকা তবে সোমবার তিনি আসেননি স্কুলে। এই খবর স্কুলে এসে পৌঁছানোয় হতভম্ব সহকর্মীরাও। কুশমোড় নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উদয় শঙ্কর হালদার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পর্ষদের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশিকা স্কুলে আসেনি।
পর্ষদের শিক্ষক বাতিলের তালিকায় রয়েছে জেসমিনা সুলতানার নামও। তিনি চাকরি করতেন ৫৮ নম্বর গুড়া নতুন পল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গুড়া নতুন পল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিয় কুমার রায় জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন ওই শিক্ষিকা। তবে তাঁদের কাছেও চাকরি বাতিল নিয়ে কোন নির্দেশিকা আসেনি। এদিন স্কুলে দেখা যায়নি অভিযুক্ত শিক্ষিকাকেও।
বাতিলের তালিকায় রয়েছে নবগ্রামের ২৮ নম্বর বানিয়া পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিআইসি মহম্মদ মজিবুর রহমান। স্কুল কতৃপক্ষের দাবি ২০১৮ সালে জানুয়ারীতে স্কুলে টিআইসি হিসাবে যোগদেন মহম্মদ মজিবুর রহমান। তবে সম্প্রতি তিনি ঠিকমতো স্কুলে আসছিলেন না। শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন নির্দেশিকা না আসলেও স্কুলের শিক্ষকের দাবি মহম্মদ মজিবুর রহমান চলে গেলে স্কুলে একজনই শিক্ষক থাকবেন।