মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ দেখতে দেখতে ১১৮ বছর। ঐতিহ্য নয়তো কী! জেলার এক ঠাকুর দালানে টানা হয়ে আসছে শারদ উৎসব, দেবী দুর্গার আরাধনা। প্রাচীন জেলা মুর্শিদাবাদ। প্রাচীন এই জেলার ঐতিহ্য। প্রাচীন এই জেলার জনবসতি। মুর্শিদাবাদ জেলায় কান্দি সাব ডিভিশনের জীবন্তী নামের ছোট্ট এই জায়গা। পাশ দিয়ে গেছে জীবন্তী নদী। এখানে প্রাচীন কাল থেকে বাস মিত্র পরিবারের। প্রাচীন জেলা মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় রয়েছে অনেক প্রাচীন বনেদি বাড়ি। এই মিত্র বাড়ির পুজোও শতাব্দি প্রাচীন।
আজকাল কার যুগে যখন পুজোর সংখ্যা বাড়ছে বাড়ছে পুজো কমিটির সংখ্যা। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেখানে এই ছোট্ট এলাকা জীবন্তীর মিত্র বাড়ির পুজো এখনও এই এলাকার মানুষের কাছে উদ্দীপনার পুজো। এলাকার মানুষ সবাই অংশগ্রহণ করেন মিত্র বাড়ির পুজোতে। ঠিক আগে যেমন করতেন। জেলার প্রাচীন পুজা গুলির মধ্যে এটি একটি। পুজোর ক’দিন ছোট মেলার আকার নেয় মিত্র বাড়িয়ে দালান। লেবু লবণ মাখিয়ে কামরাঙা, কোথাও পাপড়, বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী নিয়ে বসেছেন গ্রামের লোকেরাই। ক’দিন আনন্দ ফেরি করবেন। তবে এই মিত্র বাড়ির স্পেশালিটি নবমীর ভোগ।
পাল্টেছে শুধু বছর। পাল্টায়নি ঐতিহ্য। আজও হেঁশেলে রান্না হয় পোলাও, পাঁচ তরকারি, ভাত, ডাল, মাঝের ঝোল, চাটনি। সব একই আছে, এক আছে স্বাদও, দাবি করে বলে মিত্র পরিবারের নতুন প্রজন্মও। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে চাকরির জন্য বাইরে যেতে হয় সকলকেই। বর্তমানে দিল্লিতে কর্মরত মিত্র বাড়ির নতুন প্রজন্ম ওঙ্কার মিত্র বলেন, পুজোর কদিন বাড়িতে থাকা মাস্ট।
সব খুইয়ে বাইরে গেছি, পুজোতে বাড়িতে না থাকলে ‘মা’ রাগ করবে। তাই পুজোর ক’দিন থাকতেই হবে। একটা পুজো আসলে একটা উৎসব। আর উৎসব তখনই যুগের পর যুগ টিকে যায় যখন উৎসব ঘিরে তৈরি হয় উন্মাদনা। মিত্র পরিবারের নতুন প্রজন্মেদেরও এই বনেদি পুজোকে নিয়ে উন্মাদনা অদম্য। তারা চাই আরও যুগ যুগ এই উৎসব টিকিয়ে রাখতে।