মধ্যবঙ্গ ওয়েব ডেস্কঃ পুজোটা এবার জেলেই কাটাতে হবে। মন ভালো নেই বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার পরিবার ও অনুগামীদের। জামিনের আবেদন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন জীবন। তিন সপ্তাহ বাদে শুনানি, ফলে পুজোর আগে জামিন পাওয়া দূর অস্ত। জেলের পুজোতে তিনি উদ্বোধন না করলেও সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবেন তা বলাই বাহুল্য।
গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। এরপর থেকে জেলে আছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। এই যুক্তিতেই জামিন চেয়েছেন বিধায়ক। তাঁর প্রশ্ন, চার্জশিট জমা হওয়ার পরও কেন জেলবন্দি করে রাখা হবে তাঁকে? বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস বোপান্না ও পি এস নরসিমহার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তাই বেড়ালের ভাগ্য শিকেই ছিঁড়ল না এবারের পুজোয়। তাই এবারের পুজো কাটবে জেলেই। গত বছর জেলায় পুজোর উদ্বোধন করে বেড়াচ্ছিলেন। মেতে ছিলেন উৎসবের আনন্দে তখন কে জানত এই পরিনতি হবে?
মাস ছয়েক আগে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানোর সময় যে কায়দায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা পুকুরে ফোন ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তা সিনেমা গল্পের মতো। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বড়ঞার বিধায়ক। এবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সেই বিধায়ক। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি নিয়ে এর আগে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাতেও কোন লাভ হয়নি। এবার তাই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। সেখানেও খারিজ। তিন সপ্তাহ বাদে হবে শুনানি, ফলে পুজোর আগে জামিন পাওয়া নো চান্স।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই মুহূর্তে জেলবন্দি বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জামিন পাওয়ার জন্য বারবার নিম্ন আদালতে আবেদন করলেও জামিন পাননি। শেষ পর্যন্ত বড়ঞার বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে সিবিআইকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি তিন সপ্তাহ পর। জেলে যাওয়ার পর একাধিকবার জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। শীর্ষ আদালতে আবেদন করলেও অবশ্য পুজোর আগে জামিনের কোনও সম্ভবনা নেই তৃনমূলের নেতার।