Jangipur Municipality তৃণমূলের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ তৃণমূল কাউন্সিলরদেরই ! অনাস্থা ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পৌরসভায়। বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন ১১ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর। ১১ জনের মধ্যে ৮ জন তৃণমূলের কাউন্সিলর, ২ জন কংগ্রেস, বিজেপির ১ জন কাউন্সিলর।
Jangipur Municipality বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পৌরসভার বাইরে ছিল টান টান উত্তেজনা। মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। কী ঘটতে চলেছে! কৌতূহল বাড়তে থাকে ওয়াকিবহাল মহলে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১১ জন কাউন্সিলার পৌরসভায় যান। অনাস্থা প্রস্তাব দিয়ে পৌরসভার বাইরে বেরোন বেশ কিছুক্ষন পর। কেন অনাস্থা? বিদ্রোহের কারণ কী? ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুরুষোত্তম হালদার বলেন, ‘ প্রত্যেকে অবগত আছেন যে পৌরসভার বর্তমান বোর্ড কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ব্যর্থতার কারণে আমরা দিয়েছি। যেটুকু বলার বিগত সময়ে দলকে জানিয়েছি। সেই অনুযায়ী আজকে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হল।
Jangipur Municipality উল্লেখ্য, ১৫৬ বছরের পুরনো জঙ্গিপুর পৌরসভার মোট ২১ টি ওয়ার্ড। যার মধ্যে এদিন ১, ২, ৪, ৮,৯,১০, ১৬.১৭.২১,১৮.১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা জোটবদ্ধ হয়ে অনাস্থা দিলেন। বিগত দিনে পৌরসভা পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। ২০২২ সালের পৌরসভা ভোটে জঙ্গিপুর পৌরসভায় ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৪টি আসনে। সিপিএম ৪টি আসনে, কংগ্রেস দুটি আসনে ও বিজেপি একটি আসনে জয়ী হয়। চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের মফিজুল ইসলাম। অনাস্থা প্রসঙ্গে এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করেন চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ বিরোধী দলের থেকে দূরত্ব রেখেই পৌরসভা চালাচ্ছিলাম। পৌরসভার সব কাউন্সিলরই আমাদের সঙ্গে ছিল। হঠাৎ দেখছি বিজেপি আর কংগ্রেসকে নিয়ে অনাস্থা করেছে। পার্টি যেটা ভালো বুঝবে সেটা করবে।’ কেন এরকম পদক্ষেপ? যে প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘ বিধায়ক বলতে পারবেন। বিধায়কের জনই এই অনাস্থা এসেছে। বিধায়ক আর ব্লক সভাপতি মিলিয়ে এটা করেছে এটাই ধারনা।’ তিনি আরও বলেন,’ শহর ভালো জায়গায় আছে। রাস্তাঘাট ভালো হয়েছে। গার্বেজের ব্যাপারটা গণ্ডগোল আছে সেটা বিধায়কের জনই আছে। শহরের লোক সবাই জানে।’