Jangipur Loksabha ৭ মে তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে। হাতে আর সপ্তাহ দুয়েক সময়। এর মাঝে জনসংযোগ ও প্রচারে জোর জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর। মঙ্গলবার সকাল থেকেই খড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় প্রচার করলেন খলিলুর রহমান। এদিন খড়গ্রামের বিধায়ক আসিশ মার্জিতকে সাথে নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে পথে প্রচারে খলিলুর রহমান। এদিন জয়পুর ও পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে অংশ নিলেন তৃণমূল প্রার্থী। জয়পুরের কান্দরা এলাকা থেকে শুরু করেন ভোট প্রচার। এরপর সান্দি, পলসন্ডা, ইসানপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে জনসংযোগ।
অন্যদিকে নবগ্রাম ও সাগরদিঘিতে জঙ্গিপুরের Jangipur Loksabha কংগ্রেস প্রার্থী মর্তুজা হোসেনর সমর্থনে প্রচার করেছেন অধীর চৌধুরী। অধীরের মুখে শোনা গিয়েছে, সাগরদিঘি মডেলের কথা। সাগরিদিঘির উপনির্বাচন সিপিএমের সমর্থনে এই মডেলেই হাত চিহ্নে জিতেছেন বাইরন বিশ্বাস। জিতে যদিও দল পাল্টে গিয়েছেন তৃণমূলে । সেই ক্ষত এখনও টাটক বাম কংগ্রেস কর্মীদের বুকে। তার মাঝে লোকসভা নির্বাচনেও অধীরের মুখে শোনা গেল সেই সাগরদিঘি মডেলের কথা। । মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মর্তুজা হোসেনের সমর্থনে নবগ্রামে সভা করে কংগ্রেস। সাগরদিঘি বিধানসভা লাগোয়া নবগ্রামে সভায় বক্তা ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা।
সাগরদিঘি মডেলের কথা বলতে গিয়ে অধীরের গলায় ছিল আক্ষেপের সুরও। বাইরন বিশ্বাসকে “গদ্দার” তকমাও দিয়েছেন অধীর। অধীর বলেছেন, ” আমরা সেদিন প্রমাণ করেছিলাম তৃণমূল অপারাজেয় নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে গদ্দারকে দাঁড় করিয়েছিলাম সে কিছুদিন পর পালিয়েছে। কিন্তু আজও খাতায় কলমে সাগরদিঘির এমএলএ কংগ্রেস পার্টির”। তবে সভায় আসা সিপিএম কংগ্রেস কর্মীরা অনেকেই বলছেন, টাটকা আঘাতের কথা মনে না করালেই পারতেন পাঁচ বারের সাংসদ।