Jangipur Fire Station জঙ্গীপুরে চালু হল দমকল কেন্দ্র Jangipur Fire Station, উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Published By: Imagine Desk | Published On:

Jangipur Fire Station  এলাকায় ছিল না ফায়ার স্টেশন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আগুন নেভাতেই লেগে যেত বহু সময়। সামসেরগঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসতেই ঘটে যেত বড়সড় বিপর্যয়। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল জঙ্গীপুরেও হোক একটি ফায়ার স্টেশন। জরুরি সময়ে পরিষেবা পাক এলাকার মানুষ! সেই দাবীই পূরণ হল অবশেষে। পথ চলা শুরু হল জঙ্গীপুর ফায়ার স্টেশনের Jangipur Fire Station । বৃহস্পতিবার জঙ্গীপুর অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরী পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

রঘুনাথগঞ্জে ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরের দুই সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায়, জঙ্গিপুর এসডিও একম জে সিংহ সহ বিশিষ্টজনেরা। সবুজ পতাকা নেড়ে দমকলের ইঞ্জিনের যাত্রা শুরু হয়।

Jangipur Fire Station জঙ্গীপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। জঙ্গীপুর মহকুমায় শুধুমাত্র সামসেরগঞ্জে ফায়ার স্টেশন ছিল। যে ফায়ার ব্রিগেডের উপরে নির্ভরশীল ছিল ফারাক্কা থেকে সুদূর লালগোলা , অন্যদিকে নবগ্রাম থেকে খড়গ্রাম। আজকে তার অবসান হল। জঙ্গীপুরে দীর্ঘদিনের মানুষের দাবী ছিল। ২০১৯ এর নির্বাচনেও সেই দাবী রেখেছিলেন এখানকার মানুষ। জঙ্গীপুরের বিধায়ক সহ সকলের প্রয়াসে রাজ্য সরকার এই কাজটা করে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ” শুধু মহকুমা নয় আগামী দিনে জেলা শহর হতে যাচ্ছে জঙ্গীপুর! এদিক থেকে প্রয়োজনীয়তা ছিল। লালগোলার ক্ষেত্রেও একটা প্রস্তাব আছে।”

Jangipur Fire Station অমরপুর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে পূর্ত দপ্তরের জায়গায় তৈরি হয়েছে জঙ্গীপুর ফায়ার স্টেশন। উদ্বোধনের সপ্তাহ দুয়েক আগেই ২০২৪ এর ২৪ শে ডিসেম্বর পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ফায়ার স্টেশন কতৃপক্ষের হাতে ভবনের চাবি হস্তান্তর করা হয়। ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছে এই ফায়ার স্টেশন। আপাতত দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। প্রয়োজনভিত্তিক আরও গাড়ি বাড়ানো হবে বলেই দমকল কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়।

Jangipur Fire Station মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ” এখানে ফায়ার ব্রিগেডের কোন অফিস ছিল না , গাড়ি ছিল না। বিভিন্ন এলাকায় যদি কোথাও আগুন লাগে তাহলে ফায়ার ব্রিগেড আসতেই অনেক সময় লাগত। সুতরাং জঙ্গীপুরের ক্ষেত্রে একটা নতুন পালক জুড়ল। আশেপাশের মানুষের পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের আশা ছিল সেই আশা আজকে পূরণ হল।”