নিজস্ব সংবাদদাতা, জঙ্গিপুরঃ ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল জঙ্গিপুরে। তার জেরে আহত হলেন জঙ্গিপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ সেখ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুয়ারে সরকার শিবির সেরে পৌরসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল দুষ্কৃতির হাতে আক্রান্ত হন ওই কাউন্সিলর। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি লজের সামনে তার পথ আটকায় কিছু দুষ্কৃতি। তারাই বাঁশ জাতীয় কিছু দিয়ে ফিরোজকে ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। বাইক থেকে নামিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে কোনওরকমে পালিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ফিরোজ জঙ্গিপুর পূর্ব টাউন তৃণমূল সভাপতিও।
তবে এই ঘটনায় জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের দিকে আঙুল তোলেন পুরসভার কাউন্সিলররা। ওই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুরুষোত্তম হালদার বলেন, “কাউন্সিলরদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বনিবনা হয় না বোর্ড গঠনের পর থেকেই। এর আগেও কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠরা। এই ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।” পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরী বলেন, “সিসিটিভিতে কাউন্সিলরকে মারতে যাদের দেখা গিয়েছে তাদেরকে আমরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখেছি। তারা চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই কান্ড ঘটিয়েছে কি না তা বলতে পারব না।” কারা ওই কাউন্সিলরকে মেরেছে তা অবশ্য চেয়ারম্যান মফিজুল জানেন না বলে এদিন দাবি করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, জঙ্গিপুর তৃণমূল সংগঠনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ঘনিষ্ঠ পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল একদিকে আর অন্যদিকে ১৬ জন কাউন্সিলর। পুরুষোত্তম এদিন বলেন,” চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক অদক্ষতা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাউন্সিলদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় শুরু থেকেই। যাঁরা ওঁর অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাদের নানাভাবে হেনস্থা করেন চেয়ারম্যান। দলের সমস্ত স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে তবু কিছু লাভ হয় নি।” মফিজুল বলেন, ” আমি চেয়ারম্যান পদে থাকতে চাই না। জাকিরদাকে বহুবার বলেছি এই সমস্ত কাউন্সিলদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে সরিয়ে দিন।”