নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরষ্কার নিলেন জঙ্গিপুরের পড়ুয়া সৌভিক চট্টোপাধ্যায়।
এনএসএস (NSS) এর মূল বক্তব্য, ‘নট মি বাট ইউ’। নিজের জন্যে নয়, অন্যের জন্যে। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। বিড়ি শ্রমিকের জন্যে পরিচিত জঙ্গীপুরের সৌভিক চট্টোপাধ্যায় অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে জেলার নাম উজ্বল করলেন। এনএসএস এর সঙ্গে যুক্ত সৌভিক দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে “মাই ভারত –জাতীয় সেবা প্রকল্প (এনএসএস)” পুরস্কার পেলেন।
সোমবার ২০২২-২৩ সালের “মাই ভারত” এনএসএস পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ৪০ জনের হাতে। এনএসএস ইউনিট, তাদের প্রোগ্রাম অফিসার এবং এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের এদিন পুরস্কৃত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। এর মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের (Jangipur) সৌভিক। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রতি বছর এই জাতীয় সেবা প্রকল্প পুরস্কার দিয়ে থাকে। কোভিডের সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান, গঙ্গা ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো এবং বৃক্ষরোপণ থেকে রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় “মাই ভারত” এনএসএস পুরস্কার দেওয়া হয় জঙ্গীপুর কলেজেরত ছাত্র সৌভিককে। এই ঘটনায় খুশি ওই কলেজের প্রত্যেকে।
এদিন শৌভিক যখন ওই পুরস্কার নিচ্ছেন সেই সময়ও ঘটনাচক্রে ভাঙন আতঙ্ক তাড়া করছে অনেককে। সামসেরগঞ্জের চাচন্ড গ্রামে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।
Jangipur News মঞ্চে রয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। ধারাভাষ্যে ভেসে এল নাম-শ্রী শৌভিক চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গিপুর কলেজ, পশ্চিমবঙ্গ। বীর বিক্রমে ওই তরুণ মঞ্চের দিকে এগোলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে মেডেল পরিয়ে দিলেন। ভিডিওতে সেই দৃশ্য দেখে গর্বিত মুর্শিদাবাদবাসীর অনেকেই মন্তব্য করছিলেন, মনে হচ্ছিল ওই মেডেল পরিয়ে দেওয়া হল জঙ্গীপুরকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ দেশের বিশিষ্টদের অনেকে সেখানে হাজির ছিলেন। শৌভিক ১০০০ এর বেশি গাছ লাগিয়েছেন। রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন। নিজেও ৩ ইউনিট রক্তদান করেছেন।
আরও পড়ুনঃ Berhampore Case বহরমপুরে ১ কোটির সোনা নিয়ে বধূর নাটক ! পুলিস করল ফাঁস