Jalangi incident পদ্মার চরে চাষবাস করেই অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু সেই চাষের কাজেই পেতে হচ্ছে বেগ। হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছেন সীমান্তের কৃষকরা। অভিযোগ, সীমান্তের চরে জমির ফসল নষ্ট করছে ওপারের বাসিন্দারা। বিএসএফকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। এমনকি সীমান্তে চাষ করতে ও মাছ ধরতে সময় দেওয়া হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। সীমান্তে সমস্যা সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে না গিয়ে বামনাবাদ সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ এলাকার কৃষক ও মৎস্যজীবীদের। এলাকার কৃষকদের দাবি, জিরো পয়েন্টে না গিয়ে আগেই জায়গায় ডিউটি করছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী। এর জেরে সীমান্তের চরে চাষ করতে গেলে তাদের দীর্ঘক্ষণ এন্ট্রি করতে সময় লাগছে। এমনকি দুপুর ৩টের মধ্যে আবারও তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে । এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কাজ সম্পন্ন না করেই ফিরতে হচ্ছে। ওপারের গবাদি পশু এসে সীমান্তে ফসল খেয়েও নিচ্ছে বলে অভিযোগ। একগুচ্ছ ক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই কাজে না গিয়ে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। স্থানীয় কৃষক জয়কুমার সরকার বলেন, সমস্যার শেষ নেই। আমরা চাই এই সমস্যার সমাধান হোক। আমরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারি। একই কথা বলেন, সাইফুল মণ্ডল। জানান, এই কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। বারবার জানিয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও। তিনিও বিএসএফের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন। সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মজিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, বিএসএফ এর চৌকি পয়েন্ট করে দিয়েছি আমরা। সময় সীমিত হওয়ায় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা কাজ করতে পারছেন না। বিএসএফ কে জানিয়েও সমাধান হয়নি। আমরা চাই, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি হস্তক্ষেপ করুক।
Jalangi incident ফসল নষ্টের অভিযোগে সীমান্তে কাজে না গিয়ে বিক্ষোভ কৃষকদের, ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরাও
Published By: Imagine Desk |
Published On: