Jalangi flood hazard যে দিকে দু চোখ যায়, শুধুই জল আর জল। কৃষিজমি ডুবেছে, ডুবেছে ফসল। কখন কী হয়! গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে এখন নিস্তব্ধতা। মুর্শিদাবাদের পদ্মা পারের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের বুক কাঁপছে পদ্মার ভয়াল রূপ দেখে। ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে হু হু করে জল বেড়েছে পদ্মায়। হচ্ছে টানা বৃষ্টিও। ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের জলঙ্গীতে পদ্মার জলে ডুবেছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। একদিকে বাঁধের জল অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টি- যার জেরে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন চাষিরা। বামনাবাদের বাসিন্দা বৃদ্ধ আব্দুল রশিদ বলেন, পাট চাষে ক্ষতি, কলাই চাষের জমিও জলের তলায়। যেকোন সময়ে ঘর বাড়িও জলে ভাসবে।
পদ্মার জলস্ফীতি দেখে এখন গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। চাষের জমি ডুবে যাওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষিরা। নতুন বামনাবাদের বাসিন্দা চাষি রসতুম সেখ বলেন, আতঙ্কই এখন তাদের দোসর। চাষবাসে ক্ষতির পরিমান অত্যাধিক। নদীতে জল বাড়ছে, রাত জাগা ছাড়া উপায় নেই। জলঙ্গী ছাড়াও সাগরপাড়া ও রানীনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষবাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেকটাই। জল যন্ত্রণার একই ছবি। জলের তলায় বিঘার পর বিঘা জমি। নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমির ফসল।
একদিকে জলস্তর বাড়ছে পদ্মায়, অন্যদিকে নতুন করে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা পদ্মা পারের বাসিন্দাদের।