নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকি। রেজিনগরে একটি জনসভায় সোমবার ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, “মুর্শিদাবাদের তিনটি আসন ছাড়াও মালদার দুটি এমনকি বালুরঘাটেও প্রার্থী দেবে দল।” সংযুক্ত মোর্চা গড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করেছিল বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সব জায়গায় না হলেও ভাঙড় ২ ব্লকে বামেদের সঙ্গে লড়াই করে ভাল ফল করেছে আইএসএফ। সেই লড়াই আইএসএফ নেতাদের সাহস জুগিয়েছে বলে দাবি নওসাদ সিদ্দিকির দলের সক্রিয় সদস্যদের।
বিধানসভা নির্বাচনের পর সেভাবে সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে একজায়গায় বসেন নি জোটের নেতারা। আবার দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের চাকা পশ্চিমবঙ্গে থমকে গিয়েছে। এখানে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলও তাদের সমান প্রতিপক্ষ বলেই দাবি কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের। আইএসএফ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গীও নয়। সূত্রের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাকে এখনও কোনও বার্তাই পাঠায় নি না বাম না কংগ্রেস। নির্বাচন উপলক্ষে তৈরি ‘সংযুক্ত মোর্চা’র আদৌ কোনও অস্তিত্ব আছে কি না তা জানা নেই জোট সঙ্গী দলগুলির নিচু তলার কর্মীদের। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের দাবি নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ভিক্ষায় নেমেছেন নওসাদ।
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “ আইএসএফ একলা লড়াই করতেই পারে। সে তো যেকোনও রাজনৈতিক দলই নির্বাচনী লড়াই করতে পারে। আমরা রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে। সেই নীতির পক্ষে কেউ থাকলে যে কেউ আসতে পারে আমাদের সঙ্গে।” জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসও বলেন, “ পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনেই স্বাধীন দল হিসেবে প্রার্থী দিতেই পারে আইএসএফ। তবে সন্তান জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই কেউ নামকরণ করে, কেউ অন্নপ্রাশন পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এও তাই। লোকসভা নির্বাচনের দেরি আছে সময় আসলেই সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।“