বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই পারদ চড়ছে রাজনীতির অলিন্দে। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরাতে বিজেপি বিরোধীরা একজোট হয়েছে। তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু কোন ফর্মুলায় রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে আসন বন্টন করবে তা নিয়ে এখনও ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেন নি জোটের নেতারা। কয়েকটি জায়গায় কংগ্রেস বৈঠক করছে ঠিকই। কিন্তু চুড়ান্ত আসন সমঝোতা এখনও অধরা।
তবে সবার নজর রয়েছে বাংলায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে। আদৌ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারবে কি না তা নিয়ে ধন্দও রয়েছে জোটের মধ্যে। রাজ্যে ২০১৬ সাল থেকে ইতিমধ্যেই বামেদের সঙ্গে জোটে রয়েছে অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস। পরবর্তী সময়েও সেই জোট অটুট আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করে জেলায় একাধিক পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে তারা জোট করবে না বলে বামেরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও ঝেড়ে কাশে নি কংগ্রেস। ফলে রাজ্যে পুরনো জোট সরিয়ে কংগ্রেস নতুন করে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধবে কি না তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও রাজ্যে ক্ষমতা পেতে কংগ্রেস তৃণমূলকে সাহায্য করেছিল বলে দাবি করে কংগ্রেস। তবে সেবার সরকার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে আসা ইস্তক কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর ঘাসফুলে এলার্জীর কথা কারও অজানা নয়।
বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাধার প্রশ্নে যদিও অধীর তাঁর মত হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন বলেই সূত্রের দাবি। এই অবস্থায় রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস দশ থেকে বারোটি আসন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারে বলে সূত্রের দাবি। তবে সেই রফার কথা তার জানা নেই বলে মঙ্গলবার বহরমপুরে দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস অধীর। তিনি বলেন, “ আমি আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করছি না। যে বিষয়টি জানি না তা নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করা আমার সম্ভব নয়।” যা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের জিজ্ঞাসা কংগ্রেস হাইকমান্ডের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত কি অধীর মেনে নেবেন না কি ফের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে গিয়ে একলা চলো নীতি নেবেন অধীর? বহরমপুরের এক বর্ষিয়ান রাজনীতিক বলেন, “ দিল্লি বহুত দূর হ্যায়। এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসে নি। ”