নেতাজী ইন্ডোরের সভা শেষে কি জেলা নেতাদের সঙ্গে মমতার “ইন ডোর” বৈঠক? প্রশ্নটা ঝুলছে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ রাত পোহালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় বৈঠক নেতাজী ইনডোরে। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার সেই ‘বিশেষ অধিবেশন’-এ যোগ দিতে বুধবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুই সংগঠনেরই একাংশ পদাধিকারি। ওইদিন রাতে পৌঁছেছেন অধিবেশনে আমন্ত্রিত কানাই মন্ডল, মহম্মদ আলি, ইমানি বিশ্বাসের মতো একাধিক বিধায়কও। জেলার পদাধিকারিদের বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন্ত্রণ পত্র বিলিয়েছেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুবোধ দাস। বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে যোগ দিতে বহরমপুর ছাড়বেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারিরা।

অন্য বারের মতো দলনেত্রীর বৈঠকে যোগদানের আগে নেতাদের মধ্যে যে হুল্লোড় দেখা যায়  এবার তা অনেকটাই কম। সদ্য সংগঠনে রদবদল হয়েছে। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল হয়েছে যেমন, তেমন জঙ্গিপুরেও পাল্টে ফেলা হয়েছে চেয়ারম্যানের মুখ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘোষণা হয়েছিল বিভিন্ন অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের নাম। তা নিয়ে জেলা জুড়ে প্রকট হয়েছিল গোষ্ঠীকোন্দল। তাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন উতরেছে ঘাসফুল। তারপরেই হয়েছে নেতা বদল। স্বাভাবিকভাবেই একাধিক অঞ্চল বা ব্লকের সভাপতির মুখ বদল হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে দলের অন্দরে। কাল সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করার সুযোগ পেলে দুই সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের সেই প্রস্তাব রাখার সম্ভাবনা আছে বলেও চাউড় হয়েছে দলেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগদানের আগে নিজেদের সংযমের পাঠ দিচ্ছেন নিজেরাই, দাবি এক প্রবীণ নেতার। এমনকি “বেশি কথায় কে কখন চটে গিয়ে কেড়ে নেয় পদ, তাই যাদের পেটে কথা থাকে না, তাদের মুখেও সেলোটেপ” বলছেন “সেলোটেপ সাঁটা” এক নেতা।

যদিও কালকের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা পরিস্কার নয় নেতাদের অনেকের কাছেই। কোনও কোনও নেতা উৎসব শেষে আয়োজিত এই সভাকে  দলের বিজয়া সম্মিলনী হিসেবেই দেখছেন। তবে সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের দিক নির্দেশই হতে চলেছে কালকের বৈঠকের মূখ্য বিষয়। সেখানে দলের ভেতরে ঐক্যের বার্তা দিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর কথা ঘোষণা করতে পারেন মমতা, দাবি তৃণমূলের রাজ্যস্তরের এক নেতার।