IPL Betting Racket মুর্শিদাবাদের মাটিতে বসে আইপিএল IPL এর বেটিং, গোপন ডেরা থেকে ধৃত ৯

Published By: Imagine Desk | Published On:

IPL Betting Racket  গোটা দেশ যখন Indian Premier League ( IPL) জ্বরে কাবু ঠিক তখনই  মুর্শিদাবাদমালদা জেলার সীমান্তবর্তী ফরাক্কা থানা এলাকার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের গোপন ডেরায় বসে চলছে বেটিং। গোপন সূত্রে খবর যায় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম বিভাগে। আইপিএলের ম্যাচগুলোতে বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হল ন’জন যুবককে। ধৃত যুবকদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং বেটিং চক্র চালানোর জন্য বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস।

IPL Betting Racket আইপিএলের আন্তঃরাজ্য বেটিং চক্রের পর্দাফাঁস করল সাইবার ক্রাইম পুলিশ।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রবিবার রাতে ফারাক্কার বল্লালপুর এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ৯ জনকে হাতেনাতে ধরা হয়। উদ্ধার হয়েছে  ৩২ টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি ল্যাপটপ , কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, বেশ কিছু সিম কার্ড। ঘটনায় জঙ্গিপুর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি মামলার রুজু করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই বেটিং চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে সোমবার ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে জঙ্গিপুর কোর্টে পাঠায় পুলিশ।

IPL Betting Racket বেটিং চক্রের সদস্যরা কীভাবে এই বেটিং চক্র চালাত পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সকলের বয়স ২১ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। আরও জানা গিয়েছে, বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িতরা গত বেশ কয়েক মাস আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। কিন্তু আইপিএল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ঠিক আগেই ওই যুবকেরা বাড়ি পরিবর্তন করে অন্য একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা ওই যুবকরা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর থেকে আটজন যুবক কখনই বাড়ি থেকে বেরত না। কেবলমাত্র একজন যুবক দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনার জন্য মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হত।

IPL Betting Racket প্রাথমিক তদন্তে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর বিষয়। বেটিংয়ের সমস্ত টাকা অনলাইনে লেনদেন করা হত। পুলিশ বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা যাতে সন্দেহ না করতে পারে সেই কারণে ছত্তিশগড় থেকে বহু দূরে মুর্শিদাবাদের মাটিতে ঘাঁটি তৈরি করে এই চক্রটি কাজ করছিল। ধৃতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে আইপিএল ম্যাচের বেটিংয়ের বিপুল টাকার লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।  পুলিশের অনুমান এই চক্রের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িয়ে রয়েছে।