Indian Secular Front আইএসএফ নিয়ে এবার অধীর চৌধুরীর ( Adhir Chowdhury) কথার পুনরাবৃত্তিই ফিরহাদ হাকিমের গলায়। মুর্শিদাবাদ জেলায় লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। রবিবার লালগোয়ার জঙ্গিপুর লোকসভার প্রার্থী খলিলুর রহমানের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে সেই আইএসএফকে এবার ভোট কাটুয়া বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim) । তিনি এইদিন বলেন, “আইএসএফ হচ্ছে ভোট কাটুয়া। কোন ক্ষমতা রয়েছে তাদের ? বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। মোদীর চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করার ক্ষমতা আছে ? না শুধু ভোট কেটে দিয়ে, তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়ে বিজেপিকে আনতে চাইছেন। আপনারা বিজেপির দালালা হয়ে পড়েছেন ” ।
আগে একই ভাষায় আইএফকে নিশানা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলে ছিলেন, “২০১৬ সালেই আমরা বলে দিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে আইএসএফ-এর কোন রকমের সম্পর্ক নাই। তখন যা বলে ছিলাম আজও সেই একই কথা বলছি। এরা বিজেপির ভোট কাটুয়া। সব বিজেপির পয়সাকে ভোট কাটার জন্য রেখে দিয়ে গিয়েছে।
এদিন জঙ্গিপুরে আইএসএফ প্রার্থীর হয়ে প্রচার সারেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। সেই সভা থেকে কংগ্রেস, তৃণমূল-এই দুই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নৌশাদ। তিনি এইদিন বলেন, “উনি (মুখ্যমন্ত্রী) সব সময় বিজেপির ভয় দেখাতে চাইছেন। গেরুয়া রং দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। গেরুয়া কি বিজেপির বাপের প্রতীক ? গেরুয়া রং একটি ত্যাগের প্রতীক ”।
যদিও এই বিষয়ে ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ৭ই মে মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। পাশাপাশি একই দিনে ভগবানগোলাতেও রয়েছে উপনির্বাচন। তার আগে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে স্বর গরম মুর্শিদাবাদের রাজনিতি। যদিও আইএসএফের এই ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ আদতেও কতটা সার্থক হবে। সেটা খালি সময়ের অপেক্ষা। মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ কিন্তু জোড়াল সম্ভাবনা এখনও আইএসএফের তরফ থেকে রয়েছে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর চৌধুরী বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া হবে। কিন্তু কবে এবং কে সেই নিয়েও চলছে নানান জল্পনা। কারণ নওশাদ সিদ্দিকী ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ডায়মন্ডহারবার থেকে। কিন্তু কোন যাদু বলে সেই কঠিন ইচ্ছে থেকে সরে আসলেন তিনি। সেই নিয়েও তৈরি হচ্ছে নানান জল্পনা।