এখন খবরমধ্যবঙ্গ নিউজপরিবেশবিনোদনহেলথ ওয়াচখেলাঘরে বাইরেলাইফস্টাইলঅন্যান্য

শীতে অকাল শ্রাবনে, সর্ষের ভরা ডুবির আশঙ্কা

Published on: December 7, 2023

ঋত্বিক দেবনাথ, বহরমপুরঃ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছেয়েছে হলুদ সর্ষে ফুলে। কোথাও এক বিঘে জমিতে চলছে চাষ তো কোথাও বিঘের পর বিঘে জমি তাকালে খালি হলুদ সর্ষে ফুল। চলতি বছরে পাটের দাম পাননি পাট চাষিরা। এছাড়াও অন্যান্য ফসলেও দেখা মিলেছে লোকসানের মুখ। সেই কথায় বারবার উঠে এসেছে চাষিদের মুখে। এইমত পরিস্থিতিতে সর্ষে চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছে চাষিরা। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্ষে চাষিদের পরতে হতে পারে নানান ভোগান্তির মুখে। সেই আশঙ্কা করছেন সর্ষে চাষিরাও। ইতিমধ্যেই মাঠে সর্ষের ফুল ও ফলও ধরেছে। এবং এইরকম আবহাওয়া থাকলে সর্ষেতে হতে পারে নানান রোগ।

নীচে সর্ষের রোগ ও তার প্রতিকারের বিষয়ে কী জানালেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা? রোগের নাম ‘পাউডারি মিলডিউ’। এই রোগের লক্ষণ হল সর্ষে পাতার দু’দিকের সবুজাংশে সাদা ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এই রোগ হলে সঠিক সময় দিতে হবে নিড়ানি। দেখা মাত্র তুলে দিতে হবে সেই সমস্ত পাতাও। এছাড়াও রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে মেডালাসিল সঙ্গে ম্যালকোভেজ। এছাড়াও ‘পাতা ধ্বসা’ এই জেলার একটি রোগ। প্রথমে পাতায় হলদেটে বা ছোট বাদামি দাগ দেখতে পাওয়া যায় এবং এই ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হলে এটি ছড়াতে পারে কাণ্ডতেও। যাতে এমনটা না হয় তার জন্যে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বপন করতে হবে। দরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষের। ‘ডাউনি মিলডিউ’ সর্ষের আরও একটি রোগ। সাধারণত সর্ষেতে ফুল আসার সময় এই রোগ হয়। পাতার ওপরে হলুদ রঙের ছোপ ছোপ দেখা যায়। এই রোগ হলে প্রথমেই রোগগ্রস্থ চারা নষ্ট করতে হবে। বিভিন্ন শস্য পর্যায় পালন করতে হবে। সুস্থ সবল বীজ ব্যবহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত ‘মিগজাউম’ নামক ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যেই অন্ধপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে। ফলে মঙ্গলবার থেকেই মধ্যবঙ্গেও আকাশের মুখ ভার হয়ে আছে। শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি থেকে মাঝারি বৃষ্টির নিম্নচাপ। এই সময় যদি বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে তাহলে সর্ষে ফল ঝরে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা। যদিও যেসব চাষিদের ছোট ছোট সর্ষের গাছ আছে তাদের জন্যে সুখবর এই বৃষ্টি বলে জানাচ্ছে জেলা কৃষি দপ্তর।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now