মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ শনিবার রাতে নবগ্রামের হজবিবিডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়ায় বাঁধ ভাঙল হঠাৎ। দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণী নদীর ওপর এই বাঁধ করা ছিল যাতে গ্রামের মধ্যে জল না ঢোকে। সময়ে সময়ে এই বাঁধের সংস্করণ করা হত বলে জানা যায় গ্রামবাসীদের তরফ থেকে। কিন্তু মাঝরাতে ফাটল দেখা যায় সেই বাঁধে। যেহেতু আগের বছরে খুব একটা বৃষ্টি হয়নি ফলে বাঁধ ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সামান্য একটু বেশি বৃষ্টির ফলে ব্রাহ্মণী নদীর জল বেড়ে যায় এবং ভেঙে যায় বালির বস্তা আর বাঁশ দিয়ে বানানো অস্থায়ী বাঁধ।
ব্রাহ্মণী নদীর প্রবাহ পথ দেখলে জানা যাবে, বিহারের দুধুয়া পাহাড় থেকে ব্রাহ্মণী নদীর জন্ম। পাহাড় পেরিয়ে এই নদী আঁকাবাঁকা পথ ধরে নলহাটি, রামপুরহাট হয়ে খড়গ্রামের কাছে দ্বারকা নদীতে মিশেছে। এই নদীর এক উল্লেখযোগ্য উপনদী হল গামারি।
আজ থেকে তিন দশক আগেও ব্রাহ্মণী নদীর কান্দি মহকুমাতে যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। এখন শুখা মরসুমে এই নদীটি নালার মতো। নদীকে দখল করে এখানে চাষবাস শুরু হয়েছে। নদীর পারে যে পাড়বাঁধ রয়েছে, তার অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও পাড়বাঁধের উপরেই বসতি স্থাপন হয়েছে।
এই নদীর বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। বন্যার নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পাড়বাঁধ রয়েছে, তা যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। যদি বর্ষাতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়, এই নদীর পাড়বাঁধ ভেঙে গেলে ৫০ হাজারেরও বেশি পরিবারের সলিল-সমাধি হতে পারে।
সেখান দিয়েই চাষের জমিতে ঢুকতে থাকে জল। যদিও প্রশাসনিক তৎপরতায় শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ। বালির বস্তা ফেলে চলছে বাঁধ মেরামতি। গ্রামবাসীদের জানান, রাতে যেহেতু আচমকা এমনটা হয়েছে তার ফলে খুব আতঙ্কে রয়েছেন। পরপর চাষের জমিতে জল ঢুকে যাওয়ার ফলে। একপ্রকার অনাহারের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে অবশ্যই ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন। এ ছাড়াও নদীবাঁধের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। যাতে নদীবাঁধ বন্যাতে না ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে দরকার প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, এই বাঁধ অনেক পুরোনো। তবে সম্প্রতি বাঁধের সাংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।