নিজস্ব সংবাদদাতা, শক্তিপুরঃ রাজ্য তৃণমূলে যখন নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। ঠিক সেই সময়ে মুর্শিদাবাদে দেখা গেল উল্টো ছবি। হুমায়ুনের জন্মদিনে কেক কাটলেন রবিউল। রেজিনগরের শেষ কথা কে বলবে সেই নিয়ে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল হুমায়ুন ও রবিউলের। এবং তারপর দল বদলের নানান ছবি উঠে এসেছে এই রেজিনগর বিধানসভায়।
সেই সব দূরে সরিয়ে রেখে বুধবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের জন্মদিনে সামিল হলেন রবিউল আলম চৌধুরী। এ দিন হুমায়ুনের ৬১তম জন্মদিনে হাসি মুখে কেক কাটলেন তিনিও। শুধু রবিউল আলম নয় হুমায়ুনের জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বহরমপুর সাংগাহথনিক জেলার বর্তমান সভাপতি অপূর্ব সরকার। তাঁর সঙ্গেও এক সময় হুমায়ুনের বনিবনা ছিল না। বুধবার বিধায়কের জন্মদিনে অংশ ছিলেন বিধায়ক অনুগামী থেকে মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের উচ্চপদস্থ নেতারাও।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এ দিন জানান, “জন্মদিন পালন করা একটা মাত্র অজুহাত। এই অজুহাতে আমরা আজ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করলাম। এবং ৫ই জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধায়েরও জন্মদিন। আমরা ওইদিনও এই টুর্নামেন্টের খেলা রেখেছি। এরপরেই ২৬শে জানুয়ারি, ৩০শে জানুয়ারি রয়েছে। সব মিলিয়ে এই জানুয়ারি মাসে আমাদের অনেক রকমের ভাবনা রয়েছে”। রাজনীতির আঙিনায় বিধায়ক অপূর্ব হুমায়ুনের সিনিয়ার। যা দেখে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য আমাদের এখানে নবীন-প্রবীণে দ্বন্দ্ব নেই আমরা সবাই দিদির সৈনিক।
রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, “জন্মদিন পালন করা আসল উদ্দেশ্য নয়। সকল মানুষকে যাতে একসাথে করা যায় সেটি আসল উদ্দেশ্য। রাজনীতি করার পাশাপাশি আমরা কিছু সামাজিক কাজও করব”।