ভরতপুরে ফের অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলে

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভরতপুরঃ পঞ্চায়েত ভবন কোথায় থাকবে? তাই নিয়ে ফের পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে ভরতপুর তৃণমূলে। প্রকাশ্যে এসেছে দলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির ঠান্ডা লড়াই। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভরতপুরের তালগ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় রয়েছে দেচাপড়া এলাকায়। সম্প্রতি সেই পঞ্চায়েত ভবন গয়সাবাদ এলাকায় স্থানান্তরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নয়া পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন অন্য সদস্যরাও। তালগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বিবি বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যরা সবাই মিলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, দেচাপড়ায় কার্যালয়টা ছোট। এখানে কাজ করতে অসুবিধা হয়। একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটতে হয় মানুষজনকে। গয়সাবাদে যেখানে প্রস্তাবিত পঞ্চায়েত তৈরি হবে সেটা মাঝামাঝি হওয়ায় ন’টি গ্রামের মানুষের সুবিধা হবে।” তারই বিরোধীতা করেছেন ওই এলাকার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি হাবিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে সোমবার গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। হাবিবুরের ক্ষোভ গিয়ে পরে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানের ওপর। পরিস্থিতি থামাতে পুলিশকে পথে নামতে হয়। শুধু পঞ্চায়েত অফিস স্থানান্তর নয় পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়েও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তালগ্রাম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি হাবিবুর। তিনি বলেন ” ১৯৭৫ সাল থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয় এখানে আছে। আর ব্লক সভাপতি নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে সরকারি সম্পত্তি অপচয় করে গয়সাবাদে নিয়ে যাচ্ছে চক্রান্ত করে, পঞ্চায়েতের অর্থ লুঠ করতে। ” সরকারি সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি জানিয়ে হাবিবুর দাবি করেন,” জনগনের টাকা খরচ করে ভবন স্থানান্তর না করে মানুষের কাজে লাগানো হোক ওই টাকা।” যদিও হাবিবুরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি নজরুল। তিনি বলেন, ” পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য চাইছেন পঞ্চায়েত স্থানান্তর হোক। সুষ্ঠ পরিষেবা দিতে হলে পঞ্চায়েত কার্যালয় একটু বড় জায়গায় হলে সুবিধা হয়। তাই ওই সিদ্ধান্তে আমাদের সহমত আছে।” হাবিবুর অঞ্চল সভাপতি পদে নেই দাবি করে নজরুল বলেন, ” দলে থেকে দল বিরোধীতা করছেন উনি। আগামী দিনে উনি ওই পদে থাকবেন না।” ভরতপুরে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে ফের দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল ।