মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ জেলখানা এই কথাটি শুনলেই আমরা যেন একটু অস্বস্তিতে পড়ি। জেলখানার মধ্যেকার পৃথিবীই হল এক নাট্যকর্মীর চারণক্ষেত্র। এই জেলখানার কয়েদীদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করে, থিয়েটারের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন শহরের নাট্যব্যক্তিত্ব তথা জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা শ্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই কাজের জন্যশনিবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইমাজিনের অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হল তাঁকে। মঞ্চে স্মারক পুরস্কার গ্রহণ করতে উঠে প্রদীপবাবু বলেন এ শহর তথা জেলার সাথে তাঁর টানের কথা। তিনি বলেন, “ইমাজিন – এর সাথে আমি প্রথম থেকে যুক্ত, ওদের কমিউনিটি মিডিয়া হিসাবে যা কাজ তা জেলাবাসী হিসাবে আমার জন্য গর্বের। আমিও ওদের কাজে সামিল।” মঞ্চে প্রদীপ ভট্টাচার্যের সাথে আলাপের পুরোনো স্মৃতি উসকে দেন প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান, লোকশিল্পী সংগঠক মুজাফফর হোসেন। মঞ্চে ছিলেন প্রবীণ গবেষক রমাপ্রসাদ ভাস্কর।
নাটক কীভাবে জীবন ও সমাজকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে দীর্ঘদিনের ভাবনা প্রদীপ ভট্টাচার্যের। এ পৃথিবীতে জেলখানা নামের জায়গাটি যে আছে তা পৃথিবীর ভিতরের আরও একটি পৃথিবী। আর সেই জেলের ভিতরের পৃথিবীই ছিল একদা প্রদীপের চারণক্ষেত্র। জেলের ভিতরের কয়েদিদের নিয়ে একটা আস্ত থিয়েটার প্রোডাকশন করে ফেলেছেন তিনি। সেই প্রোডাকশন নিয়ে রাজধানী দিল্লির মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের নাটক মঞ্চস্থ করেছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য্য। এই কাজ সহজ তো ছিলই না বরং পেয়েছেন একাধিক বাঁধা। তা কাটিয়ে উঠতে লাগে প্রচণ্ড জেদি একটা মন। তাঁর এই জেদি মানসিকতাকে কুর্নিশ জানায় ইমাজিন । মানুষের জীবনে চলনের গতি মন্থর। সেই মন্থরতাকে অস্বীকার করে একজীবনে তিনি যা করেছেন তা জেলাবাসীর গর্বের কারণ।