নিজস্ব সংবাদদাতা, সামশেরগঞ্জঃ কোথাও অবৈধ দোকান, তো কোথাও বাড়ি। আবার কোথাও কংক্রিটের বাঁধায় বন্ধ হতে বসেছে সামসেরগঞ্জের মাধবজানি নদীর গতিপথ। যদিও দিনে দুপুরে নদী দখলের অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার বলেই দাবি। কয়েক বছর ধরেই সামশেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুরের চাঁদনীদোহা এবং লস্করপুরে এলাকায় মাধবজানি নদীর উপর তৈরি হয়েছে বড় বড় বিল্ডিং বা দোকান। জানা গিয়েছে সামসেরগঞ্জ কাকুরিয়া সংলগ্ন প্রতাপগজ উত্তর মোহাম্মদপুরের কাছে গঙ্গা থেকে উৎপত্তি হয়েছে মাধব জানি নদী।দীর্ঘ প্রস্থ বিশাল আকারের এই নদী নিমতলা কোহতপুর ,নামচাচন্ড, ঘোষপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর, চাঁদনীদোহা হয়ে লস্করপুরের কাছে ফারাক্কা থেকে বয়ে আসা ফিতাল ক্যানেলের সঙ্গে মিশেছে । তবে সেই নদী পথেই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কংক্রিটের বাঁধা। স্থানীয়দের দাবি অবৈধ ভাবে দখল করা হচ্ছে নদী। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ তফিজুল সেখ জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই নদীর ওপর অবৈধ নির্মাণ হতে দেখছি। প্রশাসনকে আগেও বলা হয়েছে। কিন্তু কোনরকম সাহায্য পাওয়া যায় নি। এবং সেই কারণেই এখানে অবৈধ দোকান থেকে শুরু করে বাড়িও তৈরি হয়ে গিয়েছে।’
আগে যেখানে নৌকা চলতো, মাছ চাষ হতো এখন তা বুঝতে বসেছে। যদিও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিচ্ছেন বিডিও।
সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ জানান, “এই ঘটনাটি অনেক আগের থেকেই শুরু হয়েছে। চেষ্টা করব প্রশাসনিকভাবে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার।” তবে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে দিনের পর দিন নদী দখল হচ্ছে। কারা রয়েছে নদী দখলের পিছনে। আদেও নদী বাচানো যাবে তো তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।